|
|
|
|
শুষ্ক শিল্পাঞ্চলে জাঁকিয়ে এল শ্রাবণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল ও দুর্গাপুর |
মাঝে মধ্যে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি ও শুষ্ক তাপপ্রবাহেই অভ্যস্ত যাঁরা, এ বার তাঁরাও ভাসলেন অঝোর শ্রাবণে। দু’দিনের প্রবল বর্ষণে কার্যত থমকে গিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শনিবার থেকে মেঘের দেখা মিললেও রবিবার দুপুরের পর থেকেই রাজ্যেজুড়ে শুরু হয় মুষল ধারায় বৃষ্টি। সোমবার বাইশে শ্রাবণে প্রথম সরকারি ছুটি তো ছিলই। অন্য কাজেও কেউ আর বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারেন নি। বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে কিছু অনুষ্ঠান হলেও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।
দুর্গাপুরের স্টেশন বাজার, মেনগেট ও বেনাচিতি লাগোয়া বেশ কিছু এলাকায় প্রবল বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। তবে বৃষ্টির রেশ কমতেই জমা জল সরেও যায়। স্টেশন বাজার, চণ্ডীদাস বাজার বা বেনাচিতির বাজার এলাকায় দোকানপাট সকালের দিকে খুললেও পরে অবশ্য অনেক দোকানই বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা ছিল বেশ কম। সকাল দিকে দূরের কিছু যাত্রী থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস স্ট্যান্ডগুলিও ফাঁকা হয়ে যায়।কিন্তু বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মহকুমার বিভিন্ন স্কুল ও সংস্থায় রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ বিশেষ অনুষ্ঠান ‘কবি প্রণাম’-এর আয়োজন করেছিলেন।
অন্য দিকে, আসানসোল মূল বাজার-সহ আশেপাশের অঞ্চলের অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ ছিল। অ ন্য দিনের তুলনায় এ দিন রাস্তায় যানবাহনেরও বিশেষ দেখা মেলেনি। তবে এ দিন রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস হওয়ায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েও একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোকফেরি বের হয়। বেশ কিছু অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গেলেও পুরসভার উদ্যোগে আসানসোলের মূল অনুষ্ঠানটি হয় রবীন্দ্রভবন প্রেক্ষাগৃহে। সকালে মূর্তিতে মাল্যদান করেন মেয়র তাপস বন্দোপাধ্যায় ও শহরের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। কুলটি পুরসভা এলাকার মূল অনুষ্ঠানটি হয় পুরসভার উদ্যোগে নিউ রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। |
|
|
|
|
|