|
|
|
|
জল কমেছে, শস্যহানির আশঙ্কা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
মালদহের চাঁচল মহকুমার দুটি ব্লকে ১০টি এলাকায় ফুলহারের জলে প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এক মাস ধরে ভাঙনে তলিয়েছে কয়েকশো বিঘা কৃষিজমি। প্লাবিত ৩৩ মৌজার ১০ হাজার বিঘায় জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জলে ডুবে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ও রতুয়ায় ক্ষতি হয়েছে আমন ধান ও পাটের। এ ছাড়াও আউশ ধান, ভুট্টা সহ সব্জি চাষেরও ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার বিঘা জমির ফসল নষ্ট হওয়ার রিপোর্ট মিললেও ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টাকার অঙ্কে ফসলের ক্ষতির পরিমাণের চূড়ান্ত তালিকা এখনই তৈরি না করে অপেক্ষা করতে চাইছে কৃষি দফতর। মহকুমা কৃষি আধিকারিক অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “ফুলহারের জলে প্লাবিত হয়ে দুটি ব্লকে ১০২৯৮ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণের রিপোর্ট তৈরি হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি এক সপ্তাহে জল কমলে ধানের ক্ষতি কিছুটা হলেও পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, দুটি ব্লকের সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত এলাকা মিলিয়ে ফসলের ওই ক্ষতি হয়েছে। অসংরক্ষিত এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে ফুলহারের জল উপচে পড়ে। রতুয়ার সংরক্ষিত এলাকায় অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর, দৌলতনগর, ভালুকা, মালিওর-১ পঞ্চায়েতের ১৩ টি মৌজায় আমন ধান ৩৪৬ হেক্ট্রর, পাট ২৫১ হেক্টর ও ১৫০ হেক্টর ভুট্টা, সবজি ও আউশ ধান নষ্ট হয়েছে। রতুয়া-১ ব্লকে কাহালা, দেবীপুর, বিলাইমারি, মহানন্দাটোলা, রতুয়া, বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ টি মোজায় পাট ২৭৬ হেক্টর, আমন ১১০ হেক্টর, ভুট্টা ১০০ হেক্টর ও আউশ ধান, সব্জি নষ্ট হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) তরুণ সিংহরায় বলেন, “ক্ষতি তালিকা পেলে তা সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” এ দিকে, বৃহস্পতিবার তুলনায় শুক্রবার দিন ফুলহারের জল কমেছে। এ দিন জলস্তর দাঁড়িয়েছে ২৭.২৫ মিটারে। যা লালসঙ্কেত সীমার থেকে ১৮ সেন্টিমিটার কম। অসংরক্ষিত এলাকায় নদী এখনও হলুদসঙ্কেত সীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে সেচ ও প্রশসান সূত্রে জানানো হয়েছে। সেচ দফতরের মালদহের নর্থ সেন্ট্রাল সার্কেলের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ দে বলেছেন, “ফুলহারের জল কমছে। আপার ক্যাচমেন্টে বৃষ্টি না হলে জল আরও কমবে।” |
|
|
|
|
|