|
|
|
|
সর্পদষ্টকে ফেরানোয় অভিযুক্ত হাসপাতাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সাপের কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দেওয়ায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ছাত্রের মৃত্য হয়। পুলিশ জানায়, মৃত ছাত্রের নাম বরবেশ ঠাকুর (১৬)। তার বাড়ি নকশালবাড়ির অটল চা বাগানে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। এলাকায় রাস্তা অবরোধও করেন বাসিন্দারা। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। এ দিন ঘটনার কথা জানার পরে শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “উদ্বেগজনক ঘটনা। এমন হওয়ার কথা নয়। ওষুধ না-থাকলে কিনে দেওয়া যেতে পারত। বিস্তারিত খোঁজ নেব।” মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার শৈবাল গুপ্ত দাবি করেছেন, “কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, বৃহস্পতিবার রাতে এমার্জেন্সিতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। হাসপাতালে সাপের কামড়ের চিকিৎসার ওষুধ রয়েছে। ওই দিন ২ জন সাপের কামড়ে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসাও হয়েছে।” মৃতের পরিবারের লোকের অভিযোগ, সাপের কামড়ের চিকিৎসার ওষুধ তাঁদের কাছে নেই বলে রাত ১১টা নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগ বরবেশকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। চিকিৎসার জন্য কোন ওষুধ কিনতে হবে তা জানিয়ে একটি ডিসচার্জ সার্টিফিকেটও লিখে দেন এমার্জেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাতে তাঁরা রোগীকে নিয়ে শিলিগুড়ির সেবক রোড এবং হাকিমপাড়া এলাকার তিনটি নার্সিংহোমে যান। কোথাও ওই ছাত্রকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ তাঁরা বাড়িতে ফেরার সময়ে মাটিগাড়ার কাছে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। এই ব্যাপারে মেডিক্যাল কলেজের সুপার বলেন, “কর্তব্যরত চিকিৎসক ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দিলে সেটা আমি রোগীর পরিবারকে জমা দিতে বলব। সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে তদন্ত করা হবে।” সিপিএম নেতা মাধব সরকার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা হচ্ছে। এদিনে ঘটনার ফের তা প্রমাণিত। ওই চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে আমরা বড় মাপের আন্দোলন করব।” |
|
|
|
|
|