|
|
|
|
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ |
সমস্যার মধ্যেই কাজ করার পরামর্শ মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের আরও ভাল কাজ করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালন সমিতির সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। শুক্রবার পরিচালন সমিতির বৈঠক ছিল। মন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা, জেলাশাসাক সুরেন্দ্র গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, “পরিকাঠামোগত অনেক সমস্যা রয়েছে ঠিকই। তারই মধ্যে কাজও করতে হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ করবে।” |
|
সৌমেন মহাপাত্রকে অভাব-অভিযোগ জানাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এ দিন দুপুরেই পরিচালন সমিতির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের আগেই বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘ দিন তৈরি হয়ে পড়ে থাকা নতুন-ভবন পরিদর্শনের সময়ে রোগীর আত্মীয়েরা মন্ত্রীকে ঘিরে ধরেন। চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির দাবিতে সরব হন। সবে নতুন-ভবনে মেল ও ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ড দু’টি হয়েছে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকদের দেখা মেলে না, অক্সিজেন পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করা হয়। রোগীর আত্মীয়েরা মন্ত্রীর কাছে এই অভিযোগ জানানোয় অস্বস্তিতে পড়েন স্বাস্থ্যকর্তারা। মন্ত্রী তখন বলেন, “আপনারা একটু আস্তে কথা বলুন। সমস্যা রয়েছে বলেই আমরা এসেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা হবে।” শেষমেশ রোগীর পরিজনেরা মন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত হন। মন্ত্রী বলেন, “এত দিনেও কেন পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি, সে বিতর্কে যাব না। পুরনো সরকারের সমালোচনাও করব না। আমরা চেষ্টা করব কী ভাবে মানুষের পাশে থাকা যায়।”
পরিকাঠামোজনিত অনুন্নয়নের ছবি মেডিক্যালের সর্বত্র। নতুন চারতলা ভবনের সব ঘরে ওয়ার্ড চালু করা যায়নি, পড়ে রয়েছে অনেক নতুন যন্ত্র, পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, নেই পর্যাপ্ত কর্মী। এ দিনের বৈঠকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সবই মন্ত্রীকে জানিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজে যাতে স্নাতকোত্তরে পঠপাঠন চালু করা যায়, সে জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবিও জানানো হয়েছে। মেডিসিন, সার্জারি, প্রসূতি, কমিউনিটি মেডিসিন, প্যাথোলজি-সহ ১১টি বিষয়ে এমডি পাঠ্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ দিনের বৈঠকে তাতে অনুমোদনের সিলমোহর দেন পরিচালন সমিতির সভাপতি। এ বার নিয়ম মেনে মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে আবেদন জানানো হবে। এ প্রসঙ্গে সৌমেনবাবু বলেন, “এমডি পাঠ্যক্রম চালু হলে চিকিৎসা পরিষেবারও উন্নতি হবে। রাজ্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।” শিশু বিভাগ, লেবার রুম ও অপারেশন থিয়েটারের মানোন্নয়ন, হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার জন্য একটি উড়ালপুল, হাসপাতালের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য ভাল রাস্তা তৈরির উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। এ বিষয়ে জেলাশাসককে সাহায্য করতে বলা হয়েছে।” কমিউনিটি মেডিসিনের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শালবনিতে একটি ইউনিট খোলা হয়েছে। কিন্তু সেটি চালু হয়নি। অথচ সেখানে ছাত্রছাত্রীদের রাতে থাকার জন্য ভবন তৈরি হয়েছে। পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবেই শালবনির ইউনিটটি চালু করা যায়নি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান। মন্ত্রী এ দিনই সেই ইউনিটও পরিদর্শন করেন। বলেন, “গ্রামীণ এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা খুবই প্রয়োজন। তাই প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে এমন ইউনিট রয়েছে। এখানকার ইউনিটটি চালুর জন্য পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|