|
|
|
|
শিল্প গড়ার পথ সহজ করতে উদ্যোগী রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিল্প গড়ার কাজে লাল ফিতের ফাঁস কাটতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। তার জন্য যেমন তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে, তেমনই পাহাড়প্রমাণ আবেদনপত্রের প্রয়োজনীয়তাও ঝেড়ে ফেলে সরল প্রক্রিয়ার নয়া নীতি তৈরি করবে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। শুক্রবার শিল্প সংক্রান্ত ‘কোর-গ্রুপে’র বৈঠকের পর এ কথা জানান রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শিল্প স্থাপনে রাজ্যে এক-জানলা ব্যবস্থার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা নেই বলে অভিযোগ রাজ্যের শিল্পমহলের। বস্তুত তা যথেষ্টই সময়সাপেক্ষ এবং সে জন্য শিল্পমহলকে হয়রানির মুখে পড়তে হয় বলে কোর-গ্রুপের বৈঠকে জানিয়েছিলেন বণিকসভার কর্তারা। কী করে গোটা বিষয়টি সরল করে আবেদনপত্রের সংখ্যা কমানো যায় তা খতিয়ে দেখতে ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ তৈরির নির্দেশ দেন শিল্পমন্ত্রী। পার্থবাবু এ দিন জানান, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর নিগম একটি খসড়া নীতি তৈরি করছে। তাঁর দাবি, আগের সরকারের আমলে আবেদনপত্র ছিল ৯৯ পাতার। পরে তা কমে হয় ৩১ পাতার। আর এখন নিগম খসড়া নীতিতে তা আরও কমে হচ্ছে ১৫ পাতার। এটি এর পর বিভিন্ন দফতরের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হবে। তার পর মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে তৈরি হবে চূড়ান্ত নীতি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের ‘ই-বিজ’ কর্মসূচিরও সাহায্য নিতে পারে রাজ্য। উল্লেখ্য, লাল ফিতের বাঁধন আলগা করে এক-জানলা ব্যবস্থা গড়ার জন্যই ইনফোসিস-এর সহায়তায় এই কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র। এ দিন ওই মন্ত্রকের অন্যতম কর্তা তাল্লিনকুমারের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন পার্থবাবু। নিগমের এমডি নন্দিনী চক্রবর্তী ও বিভিন্ন দফতরের সচিবরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কোন সংস্থার কাছে কত ‘সিলিং’ বহির্ভূত জমি রয়েছে, তার তালিকা তৈরির জন্য ফের বণিকসভার কর্তাদের বলেছেন পার্থবাবু। তিনি জানান, বণিকসভাগুলি যাতে দ্রুত তালিকাটি তৈরি করে, সে জন্য শীঘ্রই নিগম লিখিত আর্জি জানাবে। পার্থবাবু এ দিনও দাবি করেন, শিল্প গড়তে জমি পেতে সমস্যা হবে না। |
|
|
|
|
|