সংস্কৃতি যেখানে যেমন.. |
অতুল শিব ক্লাব |
কলকাতার সল্টলেকে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’র নাট্যরূপ পরিবেশন করে এলো লেখকের স্মৃতি বিজড়িত লাভপুরের ‘অতুল শিব ক্লাব’। লেখকের ১১৪তম জন্মবর্ষে এই নাটকটি মঞ্চস্থ করানোর আয়োজক ভারতের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতিকেন্দ্র। ৩০ জুলাই নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে। এই নিয়ে গত ২ বছরে নাটকটি ১১ বার মঞ্চস্থ হয়েছে। অতুল শিব ক্লাবের প্রবীণ সদস্য তারাশঙ্কর প্রেমী মহাদেব দত্ত ওই নাটকটির নাট্যকার ও নির্দেশক। সেই সঙ্গে অন্যতম প্রধান চরিত্রের কুশীলবও তিনি। মহাদেববাবুর কথায়, “শতাধিক বছর আগে লাভপুরের কোপাই নদীর তীরে বাঁশবাদি গ্রামে কাহার শ্রেণির মানুষজন বসবাস করতেন। যাঁরা পালকি বইতেন তাঁদের বলা হত বেহেরা কাহার। অন্যটি হল ইংরেজ কুটিয়ান জমিদার মহাজনদের লাঠিয়াল। |
|
ওই দুই শ্রেণির দ্বন্দ্ব ছিল চরমে। তারাশঙ্কর তাঁর উপন্যাসে সেই কাহিনী লিপিবদ্ধ করেছেন। আঞ্চলিক কথ্য ভাষার মিশ্রণে রাঢ়বঙ্গের প্রচলিত ধর্মসংস্কৃতি যথা ভাঁজো, হাবু, বোলান, পাঁচালি ওই উপন্যাসের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে।” সেই কারণে উপন্যাসের গান ছাড়াও আলাদা ভাবে ভাঁজো ও হাবু গান যুক্ত করা হয়েছে ওই নাটকে। সাত জন সঙ্গীত শিল্পী গান গেয়েছেন। ৫টি নারী চরিত্র রয়েছে। নাটকটি বীরভূম ছাড়াও হাওড়া শরৎসদন, বর্ধমান ও বহরমপুরের রবীন্দ্রভবনে মঞ্চস্থ করে সুমান অর্জন করেছে অতুল শিব ক্লাব। ওই ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৪ বছর পরে ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ নাটকের মাধ্যমে ওই ক্লাব নাট্যঅঙ্গনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
|
মূর্তি প্রদর্শনী |
|
দেখলে মনে হবে রাতারাতি গাঁধী ও রামকৃষ্ণের মূর্তি এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে ওঁরা জীবন্ত মানুষ। রাজনগর ব্লকের তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা শ্রীকুমার ভাণ্ডারী ও স্বাধীনকুমার দত্ত। প্রথম জনের সেলুন আছে। দ্বিতীয় জন কর্মহীন তাঁত শিল্পী। কিন্তু জীবনধারণের জন্য জন্মদিন থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জীবন্ত মূর্তি সেজে কখনও দাঁড়িয়ে থাকেন, কখনও বসে থাকেন। চোখের পাতাও পড়ে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মাঝে কিছুক্ষণের বিরতি নেন। তাই দেখে মুগ্ধ বহু মানুষ। শ্রীকুমার ভাণ্ডারী বলেন, “তাঁতিপাড়ায় প্রাচীন ‘মানুষ ঝুলন’ উৎসব এখন না কারণে তা বন্ধ। কিন্তু আমরা ওই উৎসবকে আংশিক পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি।”
|
রবীন্দ্র সঙ্গীত |
৩১ জুলাই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হাজার কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে গলা মিলিয়েছিল বীরভূমের চারটি সঙ্গীত সংস্থাও। বিশ্বভারতীর ‘সঙ্গীতভবন’, শান্তিনিকেতনের ‘মাধুরী’ ও ‘রবিমন’ এবং রামপুরহাটের ‘গান্ধর্বী’। মোট ৩১টি রবীন্দ্রসঙ্গীত কোরাসে পরিবেশিত হয়েছে সেখানে। |
|