|
|
|
|
রুটি-রুজির জন্যই লাইসেন্স চান মোটর ভ্যানচালকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
রুটি-রুজির তাগিদে আগের বামফ্রন্ট সরকারের কাছে মোটর ভ্যানচালকদের লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল বাংলা মোটর ভ্যান চালক ইউনিয়ন-এর পক্ষ থেকে। কিন্তু তাতে সরকারের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। এর পরে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় ফের সেই দাবিতে সরব হয়েছে মোটর ভ্যান চালকদের সংগঠন। লাইসেন্স-এর দাবিতে গত ২৭ জুন সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী সুব্রত বক্সীর কাছে দাবিপত্র দেওয়া হয়েছে। দাবি জানানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ সংস্থায় রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ও বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের কাছেও। গোপালবাবু বলেন, “ এটা তো শুধু এই জেলার সমস্যা নয়। গোটা রাজ্যের সমস্যা। মোটর ভ্যান চালকদের রুটি-রুজির বিষয়টি বিবেচনা করে পরিবহণ মন্ত্রী এবং পরিবহণ সচিবকে জানানো হয়েছে। তাঁরা সমস্যাটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।”লাইসেন্স, পুলিশের জুলুম বন্ধ ও পরিবহণ শ্রমিক কল্যাণ অন্তর্ভুক্তি-সহ সাত দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন মোটর ভ্যান চালকেরা। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস বলেন, “গ্রামীণ জলযান হিসাবে মোটচালিত নৌকা (ভুটভুটি) কোনও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি তৈরি না করায় লাইসেন্স ছিল না। কিন্তু পরে বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। আমাদের দাবি, মোটরভ্যানের ক্ষেত্রেও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে। তা ছাড়া এই পেশায় বর্তমানে বহু মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্ন জনিয়ে গিয়েছে। আশা করি নতুন সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।” তিনি জানান, মোটরভ্যান চালানোর খরচ কম হওয়ায় গ্রামের সাধারণ চাষি, সব্জি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র দোকানদার মাল পরিবহণের জন্য এই গাড়ি ব্যবহার করেন। রাজ্যের বহু প্রত্যন্ত গ্রামে এখন যাত্রী পরিবহণের জন্য এই ভ্যান ব্যবহার হচ্ছে। রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হলে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে এই গাড়ির জুড়ি নেই। গ্রামের বহু বেকার যুবক এই গাড়ি চালিয়ে রোজগারের পথ খুঁজে নিয়েছেন। কিন্তু হাজার উপযোগিতা থাকলেও লাইসেন্স না থাকার কারণে পুলিশের জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে। নতুন সরকারের কাছে ভ্যান চালকদের এই সব সমস্যার কথা তুলে ধরে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|