ডাকঘর

ওঁদের থাক নদীর অধিকার
পাহাড় ধোয়া ঘোলা জলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠা পদ্মা এখন প্রতি দিন রূপসী হয়ে উঠছে। ‘জলের উজ্জ্বল শস্য’ ইলিশ ধরার মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রঘুনাথগঞ্জ ও সুতি-সহ পদ্মাপাড় লাগোয়া থানা এলাকার মৎস্যজীবীরা পেশাগত সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। নদী লাগোয়া আউট পোস্টে কর্মরত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা প্রশাসনিক কারণেই জেলেদের নৌকায় রাতে পদ্মায় যেতে দেয় না। আউট পোস্টে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের হাতে সচিত্র ভোটার কার্ড জমা রাখলে দিনের বেলায় পদ্মায় মাছ ধরার অনুমতি মেলে। কিন্তু জেলেরা নৌকা করে রাতভ’র পদ্মায় মাছ ধরে। বিশেষ করে শেষ রাতে মাছধরার প্রকৃষ্ট সময়। কয়েক বছর আগেও পদ্মায় জেলেরা রাতেই মাছ ধরত। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তের চোরাচালান ও নিরাপত্তার সংক্রান্ত বিষয়ের কারণে বাংলাদেশের সীমানা লাগোয়া ওই আন্তর্জাতিক নদীতে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত যাতাযাত নিষদ্ধ করে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তার ফলে পদ্মানদীকে নির্ভর করে পুরুষানুক্রমে বয়ে চলা জেলেদের জীবন ও জীবিকা আজ বিপন্ন। তাঁদের অনেকেই আজ মাছ ধরার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আদিবাসীদের যেমন রয়েছে অরণ্যের অধিকার, তেমনি মৎস্যজীবীদের রয়েছে নদীর অধিকার। নাম-পরিচয় বিস্তৃত ভাবে তালিকাবদ্ধ করে এলাকার মালো সম্প্রদায়ের মানুষদের পদ্মানদীতে রাতের বেলায় মাছ ধরার ব্যবস্থা করা হলে পিতৃ-পিতামহের ঐতিহ্যগত পরম্পরার সঙ্গে জীবন-জীবিকাও রক্ষিত থাকে।
সংস্কার হোক যাত্রী প্রতীক্ষালয়
নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সংখ্যা অজস্র। কিন্তু সংস্কারের অভাবে ওই সব যাত্রী প্রতীক্ষালয় রয়েছে ভাঙাচোরা অবস্থায়। অথচ যাত্রীদের জন্য বিশেষত বর্ষার সময় ওই সব প্রতীক্ষালয় বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয় ও জরুরি। ভাঙাচোরা যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও জাতীয় সড়কের পিচ ঢালা রাস্তার মধ্যবর্তী এলাকা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। তাতে ভর্তি রয়েছে প্রায় হাঁটু সমান বর্ষার জল কাদা। তার ফলে ধোয়া জামা কাপড় পরে বাইরে বেরোনো মানুষজনদের হামেশাই গাড়ির চাকায় ছিটকে যাওয়া কাদাজলে নাজেহাল হতে হচ্ছে। বিশেষত ধুবুলিয়া, বেথুয়াডহরি ও দেবগ্রামের বুক চিরে চলে যাওয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের যাত্রী প্রতীক্ষালয় দেখলেই ওই অবস্থার প্রমান মিলবে। ভাঙাচোরা প্রতীক্ষালয়ের সংস্কার করে ও সামনের খানাখন্দ ভরাট করে উপযুক্ত যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।
এ বার সচেতন হোন
সমগ্র কান্দি মহকুমায় চাষের প্রয়োজনে ভূগর্ভের জল তোলার বিষয়ে কোনও রকম সচেতনতা পরিলক্ষিত হয় না। বিষয়টি যথেষ্ট আশঙ্কার ও উদ্বেগজনক। তার কারণ, ওই মহকুমা ফি বর্ষায় যেমন বন্যার জলে প্লাবিত হয়, তেমনি ফি গ্রীষ্মে খরার কবলে পড়ে। অথচ বর্ষার সময় প্রাকৃতিক জল ধরে রাখার কোনও ব্যবস্থা নেই, নেই গ্রীষ্মের সময় ভূগর্ভের জল তোলার ক্ষেত্রে সরকারি বিধি নিষেধ পালন করার দায়ও। ফলে প্রতি বছর গ্রীষ্মের সময় আগের বছরের থেকে আরও বেশি নীচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভের জলস্তর। এ কারণে নতুন সরকারের কাছে অনুরোধ, চলতি বর্ষার মরশুম থেকেই প্রাকৃতিক জল সঞ্চয়ের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে সামনের গ্রীষ্মকালে ভূগর্ভের জলের উপর নির্ভরতা আগের বছর গুলির থেকে অনেকটা কমে।
বাজার ‘দখল’
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ জন্য ধুবুলিয়া নতুন বাজারের বেশ কিছু অংশ সরকার অধিগ্রহণ করেছে। যার মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু দোকানঘর ভাঙা পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের খাসতালুক হিসাবে পরিচিত ধুবুলিয়ার ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের বৈধ কাগজপত্র নেই বললেই চলে। কেবল আন্দোলনের মাধ্যমে পুর্নবাসনের দাবি করা ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় নেই। অথচ ইতিহাস বলছে, রাতারাতি ওই বাজারটি গজিয়ে ওঠেনি। গত শতাব্দীর পাঁচের দশকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় ধুবুলিয়া যক্ষা হাসপাতালের পাশাপাশি ধুবুলিয়া বাজারটিরও পত্তন করেন। ফলে তাঁর স্মৃতিধন্য ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি এক কথায় উড়িয়ে দেওয়ার নয় বলেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।
পরিচয়পত্র আজও হল না
লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য গত বছরের প্রথমার্ধে নদিয়া জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়। সেই মতো অনেকেই আবেদনপত্রে জমা দেন। তার পরও অন্তত এক বছর পার হয়ে গিয়েছে। তবুও নদিয়া জেলায় কোনও লোকশিল্পীকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি। অথচ প্রতিবেশি মুর্শিদাবাদ-সহ অনেক জেলায় লোকশিল্পীদের পরিচয়পত্র অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। কেন এমন হল?
Previous Story Murshidabad Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.