নালায় পড়ে মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বানারহাট |
চা বাগানের নালায় পড়ে মৃত্যু হল এক গর্ভবতী হাতির। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের বানারহাট থানার রিয়াবাড়ি চা বাগানে। গর্ভবতী হাতিটি নালায় পড়ে যাওয়ার পর টানা ২ ঘণ্টা ধরে দলের অন্য হাতিগুলি সেখান থেকে তোলার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত হাতিটি সেখানেই মরে গেলে বাকি ১৫টি হাতি রেতি জঙ্গলে ফিরে যায়। ফের হাতির মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। তিনি বলেন, “নালা পেরোতে গিয়ে পড়ে যায় হাতিটি। পেটে চোট লাগায় মৃত্যু হয়েছে বলে বনকর্তারা প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছেন। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে রেতি জঙ্গল থেকে ২৫টি হাতির দল বার হয়ে বানারহাটের পলাশবাড়ি, কারবালা, রিয়াবাড়ি চা বাগানে ঢুকে পড়ে। বাড়িঘর ভাঙচুর না-চালালেও বাগানের শ্রমিক লাইনে প্রচুর হাতি ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। হাতির ভয়ে বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে পালান। কিছু বাসিন্দা মশাল জ্বালিয়ে ক্যানেস্তারা, ঢোল পিটিয়ে হাতিগুলিকে বাগান থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনটি চা বাগানে দাপিয়ে বেড়ানোর পর দলটি ভোর ৫টা নাগাদ রিয়াবাড়ি বাগান ছেড়ে পাশের রেতি জঙ্গলে ফিরে যায়। পুরো দলটি দ্রুত পায়ে বাগান ছেড়ে বনের পথে এগোলেও একটি হাতি দলের পিছনে খুব ধীর গতিতে চলছিল। রিয়াবাড়ি বাগানের জঙ্গল সংলগ্ন ১৮ নম্বর সেকশনের একটি নালা পেরোতে গিয়ে হাতিটি পড়ে যায়। চা গাছের গুঁড়িতে আঘাত পেয়ে বেশ কিছুক্ষণ ছটফট করার পাশাপাশি শুঁড় তুলে চিৎকারও করে। সামনে থাকা দলের অন্য হাতিরা দাঁড়িয়ে পড়ে। ১৫টি হাতি ফিরে গর্ভবতী হাতিটিকে ঘিরে কয়েক বার তোলার চেষ্টা চালায়। একেবারে ঝিমিয়ে পড়া হাতিটি নালার মধ্যে শুয়ে পড়ায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সঙ্গিনীকে তুলতে ব্যর্থ হয়ে দলটি বনের পথে চলে যায়। চা বাগানের বাসিন্দা অহিত আনসারি বলেন, “দেখছিলাম হাতিটিকে দল ঘিরে রয়েছে। দলটি ফিরে যাওয়ার পরে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়।” উত্তরবঙ্গের প্রধান বনপাল রবীন্দ্র কৃষ্ণমূর্তি বলেন, “বেঁচে থাকলে শীঘ্রই হাতিটি প্রসব করত। পেটে আঘাত পাওয়ায় মা-সন্তানের মৃত্যু হয়।” |
তাণ্ডব তিন দাঁতালের
নিজস্ব সংবাদাতা • বড়জোড়া |
প্রায় ৩০ জন লোককে তাড়িয়ে একটি চোলাই ঠেকের দখল নিল তিন দাঁতাল। বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার বড়জোড়া রেঞ্জের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম মুক্তাতোড়ের ঘটনা। পরে মাতাল হয়ে হাতি তিনটি ওই গ্রাম লাগোয়া সাহারজোড়া, শীতলা ও ঘুটগড়িয়া গ্রামে কয়েকটি ঘর ও দোকান ভাঙচুর করে। একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের দরজা ভেঙে মিড-ডে মিলের চাল বের করে খায়। শীতলা হাইস্কুলের ছাত্রদের সাইকেল রাখার স্ট্যান্ড এবং মিড-ডে মিলের রান্নাঘরও ভেঙে দেয়। স্থানীয় একটি খড়ি খাদানে কাজ সেরে ফেরার পথে হাতি তিনটির সামনে পড়ে ছুটে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে জখম হন চার শ্রমিক। এক রাতে পর পর তিনটি গ্রামে হাতিদের তাণ্ডবের এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। বড়জোড়া রেঞ্জ অফিসে গিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। শীতলা গ্রামের বাসিন্দা কানাইলাল চক্রবর্তী বলেন, “ওই তিনটে হাতির তাণ্ডবে আমরা সারারাত ভয়ে ঘর থেকে বেরোতে পারিনি। এ দিন সকালে স্কুলে গিয়ে দেখি ওই কাণ্ড।” বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার সৌমেন মণ্ডল বলেন, “এদিন ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলিতে বিট অফিসারকে পাঠিয়েছিলাম। তদন্ত করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, বড়জোড়ার জঙ্গল এলাকায় এখন নটি রেসিডেন্ট হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদের মধ্যে তিনটি হাতি একত্রিত হয়ে এই হামলা চালায়। তিনি বলেন, “হাতিগুলি প্রথমে একটি চোলাইয়ের ঠেক ‘দখল’ নেয় বলে জেনেছি। তারপরেই সেখানে আশপাশের এলাকায় ওরা তাণ্ডব চালায়। দুঘর্টনা এড়াতে হাতিগুলির দিকে বনকর্মীদের বিশেষ নজর দিতে বলেছি।” |
৭ টি ‘আমার বাড়ি’
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
‘আমার বাড়ি’ প্রকল্পে সাতটি বাড়ি উদ্বোধন করলেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। শুক্রবার চালসায় নিউ খুনিয়া এলাকায় তিনি ওই বাড়িগুলির উদ্বোধন করেন। জলপাইগুড়ি বন বিভাগের তৈরি এই বাড়িগুলি বাসিন্দাদের হাতির হামলা থেকে রক্ষা করবে বলে বনকর্তাদের দাবি। |