দিল্লি দরবার
শতাব্দী এক্সপ্রেস

আগে ছিলেন অভিনেত্রী। এখন উঠেপড়ে লেগেছেন মনোযোগী সাংসদ হবেন বলে। প্রথম-প্রথম যখন সংসদে আসতেন, সে সময়ে অতটা সপ্রতিভ ছিলেন না। বাঙালি-অবাঙালি সাংসদদের কাছে তাঁর একমাত্র পরিচয় ছিল অভিনেত্রী হিসেবেই। সেই পরিচয়টি এখন পাল্টে ফেলতে সক্রিয় হয়েছেন তিনি, শতাব্দী রায়। রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে কাশ্মীরের রেল প্রকল্প দেখতে যান শতাব্দী। ঝাঁ-চকচকে শ্রীনগর স্টেশন দেখে মুগ্ধ হন তিনি। আধুনিকতার পাশাপাশি যে ভাবে স্থানীয় শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে তাতে তিনি খুশি হন। ফিরেই দেখা করেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে। তাঁকে শতাব্দী জানান, ওই রকম আধুনিক মানের স্টেশন শুধু পশ্চিমবঙ্গে কেন, গোটা দেশেই নেই। রাজ্য ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওই ধরনের উন্নতমানের স্টেশন তৈরির বিষয়ে কথা বলেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। ওই সফরে শতাব্দী বুঝেছেন, কী ভাবে দুর্গম পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে জম্মু থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত রেল প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। সক্রিয় শতাব্দীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে বিজেপি সাংসদ তরুণ বিজয়ের সঙ্গেও। একসঙ্গে বসে লিখিত প্রশ্ন থেকে স্ট্যান্ডিং কমিটির নোট তৈরি করা সংসদীয় বিষয়ে এখন অনেক বেশি সময় দিচ্ছেন তিনি। অভিনেত্রী থেকে মনোযোগী সাংসদ হওয়ার লক্ষ্যে শতাব্দী এক্সপ্রেস ছুটছে খুব দ্রুত।

দরজা বদল
বাণিজ্য মন্ত্রকে থাকার সময়েও তাঁর অফিস ঘরে ছিল কাচের দরজা। পরিবেশ মন্ত্রকে যখন এলেন তখনও তাই। সম্প্রতি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে আসার পরও লাগানো হয়েছে বিরাট কাচের দরজা। জয়রাম রমেশ এ ভাবেই বজায় রাখতে চান তাঁর কাজের স্বচ্ছতা! শুধু দরজায় নয়, অভিনবত্ব তাঁর গোটা ঘরটিতেই। আসবাবহীন অথচ ভিন্ন রুচির পরিচায়ক। ঘরে জ্বালানো হয় না কোনও আলো। সব জানলা সব সময় খুলে রাখায় সারা দিন সূর্যের আলো আসে। কাজও চলে প্রকৃতির এই অপার দাক্ষিণ্যে। মান্ধাতার আমলের বিরাট কাঠের চেয়ার-টেবিল পাল্টে নিয়ে এসেছেন ছোট বেতের চেয়ার-টেবিল। বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী জয়রামের কার্পেটের নকশাতেও তার প্রতিফলন। তবে ঘরের এই সব বিন্যাস একেবারেই তাঁর নিজস্ব পছন্দের। অন্য কারও তা পোষাবে কেন? ফলে তাঁর ছেড়ে আসা পরিবেশ মন্ত্রকে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন জয়ন্তী নটরাজন। সংশ্লিষ্ট কর্তাদের জয়ন্তী নির্দেশ দিয়েছেন, শীঘ্রই কাচের দরজা বদলে ফেলতে!

নীলু থ
কেনিয়া থেকে প্রতিনিধি দল এসেছে ভারতের সংসদ ঘুরে দেখে সংসদীয় ব্যবস্থার খুঁটিনাটি বুঝতে। বৃহত্তম গণতন্ত্রে সংসদের যাবতীয় দিকগুলি বুঝে নিতে চান তাঁরা। মঙ্গলবার তাঁদের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ নীলোৎপল বসুকে। বিষয়, লোকসভা ও রাজ্যসভার মধ্যে পার্থক্য। এক ঘণ্টা ধরে অতিথিদের সংসদের দুই কক্ষের গঠনমূলক কাঠামো, নিয়মকানুনের যাবতীয় পার্থক্য প্রাঞ্জল করে ব্যাখ্যা করেন নীলোৎপল। শেষে প্রশ্নোত্তর-পর্ব। এক প্রতিনিধি প্রশ্ন করেন, ‘‘আমরা সংসদের দুই কক্ষই ঘুরে দেখলাম। লোকসভা ও রাজ্যসভা দু’জায়গাতেই একই বিষয়ে একই রকম বিক্ষোভ হচ্ছে। তা হলে পার্থক্যটা কী বুঝিয়ে দিন।’’ আসলে কেনিয়ার প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার লোকসভা ও রাজ্যসভায় গিয়ে দেখেন, দু’জায়গাতেই বহুজন সমাজবাদী পার্টি আর সমাজবাদী পার্টি নিজের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ফলে দু’জায়গাতেই সভা মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। কাজেই সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের মধ্যে কোনও পার্থক্যই খুঁজে পাননি ওই প্রতিনিধি। কিন্তু প্রশ্ন শুনে নীলোৎপল তো একেবারে থ। কোনও উত্তরও দিতে পারেননি তিনি!

বিদেশযাত্রা নয়
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন চেয়ারম্যান প্রতীপ চৌধুরী দায়িত্ব পাওয়ার পরই একটি নীতি নিয়েছেন। তা হল, বিদেশযাত্রায় নাস্তি! আগের চেয়ারম্যান এম প্রকাশ ভট্টকে কার্যত গেছো দাদাই বলতেন সবাই! আজ লন্ডন, কাল নিউ ইয়র্ক বিদেশযাত্রা লেগেই থাকত তাঁর। প্রতীপবাবু কিন্তু এর বিপরীতে হাঁটছেন। তিনি তাঁর চার জন এমডি-কেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিদেশে পাঠাচ্ছেন। মুম্বইয়ে চেয়ারম্যানের বিশাল বাংলোটিতে (যেখানে আগে থাকতেন ভট্ট) অবশ্য থাকছেন প্রতীপবাবু। বাংলোর কাছে দু’টি পেন্ট হাউস রয়েছে দু’জন এমডি-র জন্য। চার এম ডি-র মধ্যে সিনিয়র দু’জন সেই দু’টিতে থাকছেন।
Previous Story Desh Previous Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.