|
|
|
|
গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বে সশস্ত্র মিছিল তৃণমূলের, পিছনে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লাঠিসোঁটা-রড নিয়ে মিছিল করল তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। আর ‘শৃঙ্খলারক্ষা’ করতে পিছনে-পিছনে ঘুরল পুলিশ জিপ।
শুক্রবার দুপুরে বর্ধমান শহরের কার্জন গেট থেকে বাদামতলার মতো কয়েকটি জায়গায় ঘোরে ওই মিছিল। তার নেতৃত্বে থাকা তৃণমূল নেতা শিবনাথ ঘোষের অভিযোগ, “আগে সিপিএম করত, এমন কিছু লোক এখন তৃণমূলে ঢোকার চেষ্টা করছে। অনেকে ঢুকেও পড়েছে। আমায় আক্রমণ করে ওরা পুষে রাখা রাগের শোধ তুলতে চাইছে।” তাঁর দাবি, তার প্রতিবাদেই মিছিল। |
|
বর্ধমান শহরে সশস্ত্র মিছিল। পিছনে পুলিশের জিপ। শুক্রবার উদিত সিংহের ছবি। |
বর্ধমান থানার আইসি ভবদেব চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী কাউকে কিছু না জানিয়ে আচমকা লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করে। শান্তিরক্ষার জন্য পুলিশের জিপ পিছনে গিয়েছে।” তবে কী করে শহরে এ রকম সশস্ত্র মিছিল চলতে দেওয়া হল, তার সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “পুলিশ এ ভাবে কাউকেই সশস্ত্র মিছিল করার অনুমতি দিতে পারে না। তবু কী করে বর্ধমান শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একটি সশস্ত্র মিছিলকে ঘুরতে দেওয়া হল, খোঁজ নিচ্ছি।”
ঝামেলার সূত্রপাত কার্জন গেট এলাকায় ম্যান্ডেলা পার্কে বসা নিয়েই। শিবনাথবাবুর বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা পার্কে বসে কথাবার্তা বলেন। এ দিন দুপুরে বাদামতলার মেথরপাড়া থেকে দলেরই কিছু সমর্থক সেখানে ঢুকে তাঁদের মারধর করার চেষ্টা করে। মেথরপাড়ার তৃণমূল কর্মীদের পাল্টা অভিযোগ, শিবনাথবুর অনুগামীরাই তাঁদের মেরে-ধরে পার্ক থেকে বের করে দিয়েছিল। সশস্ত্র মিছিলের খবর শুনেই অবশ্য তাঁরা পালাতে শুরু করেন। বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, পাড়া কার্যত পুরুষশূন্য। মহিলারা হামলার ভয়ে কান্নাকাটি করছেন।
শুধু মিছিলই নয়, পরে সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে বর্ধমান থানায় গিয়ে ‘দুষ্কৃতীদের’ ধরার দাবিতে স্মারকলিপিও দিয়েছেন শিবনাথবাবু। অপর গোষ্ঠী সম্পর্কে তাঁর হুমকি, “ওদের দল থেকে বহিষ্কারের জন্য আমি রাজ্য নেতাদের কাছে আবেদন জানাব।” তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এ নিয়ে স্পষ্টই অস্বস্তিতে। শহরের অন্যতম নেতা অরূপ দাসের দাবি, “আমি কলকাতায় ছিলাম। কিছুই জানি না।” দলের বর্ধমান জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথও বলেন, “ঠিক জানি না। কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
|
|
|
|
|