ইস্পাত হাসপাতালে ওষুধ নিয়ে ঢোকার সময়ে ওষুধের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় ওষুধ দোকানের মালিকেরা। তাঁরা ওই সময়ে গাড়ি থেকে কিছু ওষুধ সরিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তিন জনকে আটক করে। ওষুধ ফেরত দেওয়ার পরে তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (ডিএসপি) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ডিএসপির কর্মীরা বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পান। যে ওষুধ তাঁদের বাইরে থেকে কিনতে হয় রসিদ দেখে সেই মূল্যও তাঁদের দিয়ে দেওয়া হয়। বাইরের দোকান থেকে রোগীদের ওষুধ কেনার হয়রানি কমাতে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ অগস্ট মাস থেকে হাসপাতালেই সমস্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেন। সে জন্য দরপত্রও ডাকা করা হয়। শেষ পর্যন্ত কলকাতার একটি সংস্থা ওষুধ সরবরাহের বরাত পায়। এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ সেই সংস্থা গাড়ি করে হাসপাতালে ওষুধ নিয়ে ঢুকছিল। সেই সময়ে গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় ওষুধের দোকান মালিকরা। গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। কিছু ওষুধ গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তিন জনকে আটক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তবে ওষুধ ফেরত দেওয়ায় হিসাব মিলিয়ে পুলিশ তাদের পরে ছেড়ে দেয়। ডিএসপি’র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিভূরঞ্জন কানুনগো জানিয়েছেন, রবিবারের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “রোগীদের সুবিধার কথা ভেবেই সোমবার থেকে নতুন এই পরিষেবা চালুর উদ্যোগ হয়েছিল। সেই মতো এ দিন প্রথম গাড়িটি পাঠায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। এ দিনের ঘটনার জেরে কাল থেকে পরিষেবা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।” এ দিকে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ নতুন এই পরিষেবা চালু করলে ইস্পাত নগরীর প্রায় ৭২ টি ওষুধের রিটেল দোকানের লোকসান হবে। সেজন্য ডিএসপি কর্তৃপক্ষকে তা না করার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু কতৃর্পক্ষ তা না মানায় এ দিন হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংগঠনের দুর্গাপুর শাখার সভাপতি জয়দেব কুণ্ডু বলেন, “ডিএসপি’র কাছে নির্ধারিত টাকা দিয়ে ওষুধের দোকান খুলেছেন মালিকেরা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু মানুষ এর সঙ্গে জড়িত। ডিএসপির এই সিদ্ধান্তে তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বেন।” |