|
|
|
|
পুরুলিয়া হাসপাতাল |
নার্সদের উপরে ‘হামলা’, ঘেরাও হাসপাতাল সুপার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
রোগী-মৃত্যুর জেরে ‘হামলা’ হয়েছিল নার্সদের উপরে। নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করলেন নার্সেরা। পালন করলেন সাময়িক কর্মবিরতি। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ওই ঘটনাকে ঘিরে তেতে ছিল পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল চত্বর।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বমি ও পেট ব্যথার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন হাসপাতালেরই এক অবসরপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। ওই বৃদ্ধের বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকায়। সেই সময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধের আত্মীয়দের জানান, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মারা যান বৃদ্ধ। |
|
নিরাপত্তার দাবিতে সুপারকে ঘিরে ধরেছেন নার্সরা। সুজিত মাহাতো |
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এর পরেই মৃতের আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে কিছু বহিরাগত মিলে ভাঙচুর চালান সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে। ‘মারধর’ করা হয় চিকিৎসককে। নার্সদের ‘শ্লীলতাহানি’র চেষ্টা করা হয়। নার্সদের ক্ষোভ, “ওই রোগীর মৃত্যুর পরে কিছু লোক এসে ওয়ার্ডের আসবাসপত্র ভাঙচুর করে। আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। গালিগালাজ করে। আমরা কর্তৃপক্ষকে ফোনে সব জানাই। কিন্তু তখন কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।”
এই ‘পরিস্থিতি’র প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে এ দিন সকাল পৌনে ৯টা থেকে হাসপাতাল সুপার স্বপন সরকারকে ঘেরাও করেন নার্সেরা। পরে সুপারের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সুপার বলেন, “রোগী মৃত্যুর ঘটনায় কোনও অভিযোগ হয়নি। এক চিকিৎসককে নিগ্রহ, নার্সদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং ওয়ার্ডে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।” তিনি জানান, আজ, সোমবার হাসপাতালে নার্স ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে বৈঠকে করা হবে। পুলিশ জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|