টুকরো খবর
|
টিকা ছাড়া কিছুই মেলে না মন্তেশ্বরের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
|
নিজস্ব চিত্র। |
উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে বেহাল মন্তেশ্বরের ভাগরামূল পঞ্চায়েতের সিজনা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শিশু ও মহিলাদের টীকাকরণ ছাড়া বর্তমানে এখান থেকে আর কোনও পরিষেবাই মেলে না।
প্রায় ২৫ বছর আগে তিন কাঠা জমির উপরে এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি গড়ে ওঠে। উদ্দেশ্য ছিল, সিজনা, উজনা, তাজপুর, ভেঁটি গ্রামের বাসিন্দাদের উপযুক্ত পরিষেবা দেওয়া। বাসিন্দাদের দাবি, প্রথম কয়েক বছর অনিয়মিত হলেও চিকিৎসক আসতেন। ওষুধপত্রও মিলত। সারা সপ্তাহে দেখা মিলত স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। গত এক দশকে পরিকাঠামো ক্রমশ ভেঙে পড়তে থাকে। বর্তমানে তিন জন স্বাস্থ্যকর্মী পালা করে তিন দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজিরা দেন। তাঁরা প্রসূতি ও শিশুদের টীকাকরণ ছাড়া অন্য কোনও কাজ করেন না। তিনটি ঘরের মধ্যে ব্যবহার করা হয় একটি ঘর। এমন কী উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে নেই পানীয় জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশচন্দ্র পাল, সিদ্ধার্থ ঘোষাল, কানাই দে, তপন নন্দীদের দাবি, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও সর্বক্ষণের স্বাস্থকর্মী থাকলেও বহু মানুষ উপকৃত হত। সামান্য কোনও অসুস্থতাতেও ৮ কিলোমিটার দূরে মন্তেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়। ভাগরামূল পঞ্চায়েতের প্রধান পরিমল সেন বলেন, “খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। দরকারে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে রির্পোট পাঠানো হবে।” মন্তেশ্বরের বিএমওএইচ কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সারা বছর পাকাপাকিভাবে চিকিৎসক থাকার নিয়ম নেই। তবে সিজনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো কেন তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”
|
স্বাস্থ্যবিমা চালু না হওয়ায় সমস্যা ডায়মন্ড হারবারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার |
বহু আগে ঘোষড়া হয়ে গেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ৯টি ব্লকে আজও চালু করা হয়নি রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন বিপিএল তালিকাভুক্তরা।
২০০৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প অনুমোদন করে। ঠিক হয় বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। জেলাগুলিতে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে প্রতিটি বিপিএল পরিবারকে এই স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। এর জন্য প্রতিটি বিপএল পরিবারকে বছরে দিতে হবে ৩০ টাকা। তার বিনিময়ে ওই পরিবারের সকল সদস্য সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পাবেন। কিন্তু এখনও এই বিমা প্রকল্প চালু না হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিপিএল তালিকাভুক্তরা স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে সরাকরি সাহায্য পাচ্ছেন না। কেন এই সুযোগ বিপিএল তালিকাভুক্তদের দেওয়া যাচ্ছে না? এ উত্তরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) সঞ্জয় বসু বলেন, “ওই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই জেলার প্রতিটি ব্লকে প্রকল্প চালু করা হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ বিপিএল তালিকাভুক্তদের সম্পর্কে পুঙ্কানুপুঙ্খ খোঁজখবর নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়াতেই দেরি হচ্ছে।
|
মর্গ আধুনিক করা হচ্ছে আসানসোলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
মহকুমা হাসপাতালের মর্গটির আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করল আসানসোল পুরসভা। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতি ১০ দিন অন্তর পুরনো বেওয়ারিশ দেহ সরিয়ে সেগুলি সৎকারের ব্যবস্থা করছে পুরসভা। মেয়র তাপস বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আগে মাসে এক বার এই কাজটি করা হত। এর ফলে দুর্গন্ধে ভরে যেত গোটা অঞ্চল। এ বার আর এই সমস্যা থাকবে না।” মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার শ্যামল সান্যাল জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেওয়ারিশ দেহ ১০ দিন রেখে দিতে হয়। প্রতি ১০ দিন অন্তর সেই দেহগুলি সৎকার করা হলে সরকারি নিয়ম মানা হবে আবার হাসপাতাল মর্গটিও পরিচ্ছন্ন থাকবে। মেয়র তাপস বন্দোপাধ্যায় আরও জানান, মর্গে দেহ রাখার জন্য ২০টি ‘ট্রে’ তৈরি করাচ্ছে পুরসভা। বর্তমানে এই ব্যবস্থা না থাকায় মর্গের বারান্দায় দেহগুলি ফেলে রাখতে থাকে।
আসানসোল মহকুমা হাসপাতালের বর্জ্য দূষণ ও মর্গ দূষণের অভিযোগ বহু দিনের। এলাকার বাসিন্দারা বহু বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আসানসোল পুরসভার কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছেও এ রকম কিছু অভিযোগ জমা পড়ে। সম্প্রতি পর্ষদের আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিকেরা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত দূষণ প্রতিরোধের পরামর্শ দেন। আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষের কাছেও চিঠি পাঠান।
|
প্রসূতিকে সাহায্য রোগী কল্যাণ সমিতির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
বাড়িতে আছেন শুধু বৃদ্ধা মা। তাই রোগী কল্যাণ সমিতির টাকায় গাড়ি ভাড়া করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলেন কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আশা প্রকল্পের গাড়ি না পেয়ে রবিবার দুপুরে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “সাহিদা বিবি নামে ওই মহিলাকে আশাকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। রোগীর বাড়ির লোক না থাকায় মাতৃযান পাঠাতে রাজি হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। বাধ্য হয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির টাকায় অন্য গাড়ি ভাড়া করে ওই মহিলাকে শক্তিনগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” সাহিদা বিবির বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জের বার্নপুর-ফুলবাড়ি এলাকায়। মাস কয়েক আগে স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বাপের বাড়িতে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকেন। আশাকর্মীরা তাঁকে শনিবার বিকেলে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। অরিন্দমবাবু বলেন, “সাহিদা বিবি মানসিক ভারসাম্যহীন। অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু বাড়ির লোক না থাকায় আমরা সমস্যায় পড়ি।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত হালদার বলেন, “জরুরি অবস্থায় শুধুমাত্র বিপিএল তালিকাভুক্তদের রোগী কল্যাণ সমিতির টাকায় বিএমওএইচ চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে রোগীর হলুদ কার্ড থাকা সত্ত্বেও ওই সংস্থা কেন মাতৃযান পাঠাল না তা খতিয়ে দেখব।”
|
জাল নিয়োগপত্র, ধৃত ২ বর্ধমানে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
জাল নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। হাসপাতাল সুপারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে ব্যক্তি ওই নিয়োগপত্র দিয়েছিল, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমানের বিজয়রামের বাসিন্দা চঞ্চল দাস এ দিন নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে আসে। সুপার সুবোধ ভট্টাচার্য বিস্মিত হয়ে দেখেন, চতুর্থ শ্রেনীর ওই নিয়োগপত্রে তিনিই ‘সই’ করেছেন। তবে তাঁর নামের জায়গায় লেখা রয়েছে ‘সুবোধ ভট্ট’। এই সইটি যে তাঁর নয়, বুঝতে পেরেই তিনি পুলিশ খবর দেন। হাসপাতালে গিয়ে চঞ্চল দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে চঞ্চল বলে, ৫৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই নিয়োগপত্র সে সংগ্রহ করেছে লোকোর বাসিন্দা জনৈক মানিক দে-র কাছ থেকে। তাকেও গ্রেফতার করা হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস সরকার বলেছেন, “ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। সম্ভবত জাল নিয়োগপত্র তৈরির একটি চক্র রয়েছে। চক্রের চাঁইদের গ্রেফতার করাই আমাদের লক্ষ্য।”
|
উদ্বিগ্ন ছাত্রছাত্রী
পীযূষ সাহা • মালদহ |
|
ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
রাত পোহালেই শুরু হবে ক্লাস। অথচ এখনও মেডিক্যাল কলেজের ক্লাস রুম, ল্যাবরেটরি ও হস্টেলের কাজ শেষ না-হওয়ায় উদ্বিগ্ন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ছাত্রছাত্রী, তাঁদের অভিভাবকেরা। ছেলেমেয়ের থাকার জায়গার খোঁজে এদিন মালদহ শহরের নানা হোটেলে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হন অভিভাবকেরা। ছাত্র-ছাত্রীর কথা মাথায় রেখে রাত দিন কাজ করে হস্টেল এবং ক্লাস রুমের কাজ শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ অধ্যক্ষ দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “পয়লা অগস্ট বেলা ১১টায় মেডিক্যাল কলেজের সূচনা ক্লাস শুরু হবে। প্রথম দিন ছাত্রছাত্রীদের কোথায়, কখন, কী বিষয়ে কারা ক্লাস নেবেন তা বোঝানো হবে। দ্বিতীয় দিন থেকে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পযর্ন্ত পুরো ক্লাস চলবে। ক্লাস রুমের কাজ হলেও হস্টেল রেডি হতে আরও ২-৪ দিন দেরি হবে। ওই সময়টুকু ছাত্রছাত্রীরা না-হয় শহরের হোটেলে থাকবে। তারপরে হস্টেলে আসবে।” রবিবার মালদহ সদর হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, বৃষ্টিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের সামনে অ্যাকাডেমি বিল্ডিংয়ে যুদ্ধকালীন তপরতায় কাজ চলছে। জঞ্জালের স্তূপ পরিষ্কার চলছে। চলছে রংয়ের কাজ। ক্লাস রুমের মধ্যে এলোমোলো হয়ে পড়ে থাকা টুল, চেয়ার সরিয়ে ধোয়ামোছা কাজ চলছে। মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী প্রিয়াংকা সাহা। মেয়েকে রাখতে এসে হস্টেল দেখে চমকে উঠেছেন কলকাতার বেহালার দম্পতি চন্দন কুমার সাহা ও তাঁর স্ত্রী উজ্জলা দেবী। তাঁরা জানান, যা হাল দেখছি তাতে এখনই মেয়েকে পাঠানো যাবে না।
|
হৃদরোগ চিকিৎসায় |
অল্প সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার বাইপাস সার্জারি হল উডল্যান্ডস হার্ট সেন্টারে। অত্যাধুনিক চিকিৎসাতেই এই সাফল্য এসেছে বলে দাবি সংস্থার ডিরেক্টর ডাঃ তাপস রায়চৌধুরীর। পঁচিশ বছর বয়সে প্রথম বাইপাস সার্জারির পরে সুস্থই ছিলেন ওই রোগী। কিন্তু চার বছর পর তাঁর আবার জটিল সমস্যা ধরা পড়ে। দ্বিতীয় বার বাইপাসের ঝুঁকি নিতে চাইছিলেন না অনেকেই। শেষমেশ ওই মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর দ্বিতীয় বার বাইপাস করে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি চিকিৎসক রায়চৌধুরীর। |
|