|
|
|
|
রেশন দোকানে আচমকা হানা জেলা প্রশাসনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রেশনের দোকানগুলিতে আচমকা পরিদর্শনে গেলেন জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকেরা। এর মধ্যে জেলা স্তরের একটি দলে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ও জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ামক ছিলেন। শনিবার তাঁরা ৭টি রেশন দোকানে গিয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখেন।
এ ছাড়া, মহকুমা স্তরে মহকুমা শাসক ও মহকুমা নিয়ামক এবং ব্লক স্তরে বিডিও এবং খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ইন্সপেক্টরেরা জেলার মোট ৯৩টি রেশনের দোকান আচমকা হানা দেন। তাতে বেশ কয়েকটি রেশনের দোকানে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, “জেলায় মোট ১৩৩০টি রেশনের দোকান রয়েছে। তার মধ্যে ১২টি দোকানে ছোট বড় বিভিন্ন রকমের অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। প্রত্যেকটি বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্প্রতি প্রায়ই রেশন দোকান নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ আসছিল। সাধারণ মানুষ ক্ষোভও দেখাচ্ছিলেন। অনেক ডিলার খোলা বাজারে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে দিচ্ছেন, এমন কথাও উঠছিল। তাই আচমকা অভিযান শুরু হয়। দেখা গিয়েছে, কোথাও কোথাও সত্যিই সমস্যা রয়েছে। কেউ গ্রাহকদের ক্যাশমেমো দিচ্ছেন না। কোথাও যত সামগ্রী থাকার কথা, তা নেই।
জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ামক অমিয়প্রসাদ রায় বলেন, “আমাদের দফতরের কর্মী সংখ্যা কম হওয়ায় সব সময় গণবণ্টন ব্যবস্থার উপরে ঠিকঠাক নজর রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। এ বার এই আচমকা অভিযানে অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।” রেশন ডিলারদের সংগঠনের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক জয়দেব সাহা বলেন, “বেশ কিছু সরকারি নিয়ম নীতি মেনে আমাদের ব্যবসা করতে হয়। কেউ যদি সেই নীতি না মানেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু শুধু রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই হবে না। গণবণ্টন ব্যবস্থায় নানা স্তরে নানা দুর্নীতি রয়েছে, সে সব সম্পর্কেই সচেতন হতে হবে সরকারকে।” |
|
|
|
|
|