|
|
|
|
রবি মরসুমে সব্জি চাষের পরিমাণ বাড়াতে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
এ বছর রবি মরসুমে যাতে বেশি পরিমাণ সব্জি উৎপাদন হয়, সে জন্য উদ্যোগী হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উদ্যানপালন দফতর। বর্ষায় অতিবৃষ্টিতে জেলা জুড়েই সব্জিচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব্জির দামও আকাশছোঁয়া। এই সঙ্কট মেটাতেই রবি মরসুমে বেশি পরিমাণ সব্জিচাষে জোর দেওয়া হচ্ছে।
উদ্যান পালন দফতর সূত্রের খবর, প্রতি বছর জেলায় ৬৫-৭০ হাজার হেক্টর জমিতে সব্জির চাষ হয়। এর কুড়ি শতাংশ চাষ হয় বর্ষাকালে। কিন্তু বর্ষার গোড়ায় অতিবৃষ্টিতে বর্ষাকালীন সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ সব্জিই পচে গিয়েছিল। এখন অন্য জেলা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন বাজারে সব্জি আমদানি হচ্ছে। স্বভাবতই দাম চড়ছে। নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। এ বার তাই রবি মরসুমে জলদি জাতের সব্জি চাষ করে সমস্যা মেটানোর তোড়জোড় চলছে। এ জন্য প্রচারেও নেমেছে উদ্যানপালন দফতর। মরসুমি সব্জিচাষে যাতে চাষিদের আগ্রহ বাড়ে, সেই চেষ্টাও শুরু হয়েছে।
জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শীতকালে জেলায় প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে সব্জির চাষ হয়। ঢ্যাঁড়স, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, টমেটো, বেগুন, লঙ্কা, বরবটি, লাউ-সহ বিভিন্ন জাতের সব্জিচাষ হয় জেলায়। এ বার যাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণ সব্জি উৎপন্ন হয়, সেই চেষ্টাই চলছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সব্জির বিজ বোনা শুরু হয়। চারা রোপণ করা হয় ওই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। এ বার জলদি জাতের সব্জিচাষ যাতে অগস্ট মাসের শেষ দিকেই চাষিরা শুরু করে দেন, সে জন্য উদ্যানপালন দফতরের কর্মীরা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন। চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। অগস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চাষিদের নিখরচায় মিনিকিটও বিলি করা হবে। উদ্যানপালন দফতরের জেলা আধিকারিক শুভাশিস গিরি বলেন, “বিনামূল্যে বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, ওল, পালংশাক, মুলো-সহ বিভিন্ন জাতের সব্জির মিনিকিট দেওয়া হবে। চাষিরা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকেই মিনিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।” জঙ্গলমহল-সহ জেলার অন্যত্র তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের চাষিদের মিনিকিট ছাড়াও রাসয়নিক সার, কীটনাশক দেওয়া হবে বিনামূল্যে। শুভাশিসবাবুর কথায়, “সব্জির চড়া দাম যাতে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আয়ত্তে চলে আসে, সে জন্য সব রকম চেষ্টাই করা হবে।” |
|
|
|
|
|