বন-বিধিতে বিপাকে বাসিন্দারা |
মানসের জন্য এক গুচ্ছ নয়া প্রকল্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বিপন্ন তকমা কাটবার পরে অসমে মানস অরণ্যের জন্য একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প আনতে চলেছে কেন্দ্র। আজ কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের এডিজি (বন্যপ্রাণ) জগদীশ কিসওয়ান গুয়াহাটি এসে জানান, মানসের অনন্য বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য ওয়র্ল্ড হেরিটেজ কমিটি ও ইউনেস্কো মানসে সার্বিক বাস্তুতন্ত্র ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করতে পরামর্শ দিয়েছে। মানসের সীমানাও প্রায় ৩৬০ বর্গ কিলোমিটার বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে, আগামী বছরের মধ্যে মানসে ‘ইস্টার্ন সোয়াম্প ডিয়ার’ বা বারাশিঙা আনা হতে চলেছে। |
|
ছবি: মানস কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে |
বারাশিঙার একমাত্র আবাস এখন কাজিরাঙা। সেখানে প্রায় সাড়ে ছয়শো এই ধরণের হরিণ আছে। অসমের প্রধান বনপাল সুরেশ চাঁদ জানান, ভারত ও ভুটানের মানসকে মিলিয়ে যৌথ পর্যটন বিকাশের বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। ভারত ও ভুটান মিলিয়ে বৃহত্তর মানসকে ঐতিহ্য ক্ষেত্রের আওতায় আনা গেলে পশু সংরক্ষণ ও নজর রাখায় সুবিধা হবে। মানস ‘ফ্রেন্ডশিপ পার্ক’ গড়ার ব্যাপারেও প্রস্তাব জমা দিচ্ছে কেন্দ্র।
মানসের বিপন্ন তকমা ওঠার পাশাপাশি, বাঘ সংরক্ষণের জন্য কাজিরাঙা আইইউসিএন, হেরিটেজ কমিটির প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিসওয়ান কাজিরাঙার মাঝখান দিয়ে যাওয়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ ও ইউনেস্কো হেরিটেজ কমিটির কাছে বন্যপ্রাণীর বিবরণ, শিকারের তথ্য যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়গুলি নিয়েও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বন বিভাগ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। |
|