|
|
|
|
তৃণমূলের উপরে হামলায় ধৃত অভিযুক্ত সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং কয়েকজন তৃণমূল সমর্থককে মারধরের অভিযোগে সিপিএমের এক জোনাল কমিটির সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার ফতেপুরে। ধৃত মধু দাস সিপিএমের উলুবেড়িয়া জোনাল কমিটির সদস্য। পেশায় তিনি উলুবেড়িয়ারই একটি হাইস্কুলের শিক্ষক।
তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ উলুবেড়িয়ার ফতেপুরে তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় মধূ দাসের নেতৃত্বে সিপিএম-আশ্রিত এক দল দুষ্কৃতী। সে সময়ে কার্যালয়ে বসেছিলেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তাঁদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করা হয়। আলমারি টেবিল-চেয়ার উল্টে ফেলে দেয় হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পুলক রায় বলেন, “বিনা প্ররোচনায় নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য সিপিএমের নেতারা এসে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। মারধর করে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে মধু দাস-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএম নেতা উৎপল সরকার বলেন, “সিপিএমের কোনও নেতা বা কর্মী তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালানোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এটা ছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অথচ আমাদের দলের নেতা এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল।” পুলকবাবুর অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, “আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।”
রবিবার খুব ভোরে বাড়ি থেকেই মধুবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “ধৃত মধু দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় আরও কারা জড়িত ছিল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।” এ দিকে, দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়ায় সিপিএমের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। |
|
|
|
|
|