|
|
|
|
তৃণমূলের অনুষ্ঠানে হাজির বহিষ্কৃত নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শেওড়াফুলি |
দুর্নীতি এবং দলবিরোধী কাজের অভিযোগে আরামবাগের দলীয় নেতা আকবর আলিকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত শনিবারেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। জানানো হয়েছিল, তোলাবাজি, মারধরে জড়িত থাকা-সহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে। খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, দলের অনুশাসন না মানায় আকবর আলির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। অথচ, এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই নেতাকে দেখা গেল দলীয় অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসে আছেন। একই মঞ্চেই হাজির দলের যুব নেতা এবং বিধায়কেরাও।
হুগলি জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান রবিবার থেকে শুরু করল তৃণমূলের যুব সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল যুবা’। এ দিন বিকেলে শেওড়াফুলির সত্যজিৎ রায় ভবনে সংগঠনের তরফে একটি অনুষ্ঠান হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, সদস্যপদের জন্য ফর্ম বিলি করা হয় এখান থেকে। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির পদাধিকারী করণ শর্মা, রমিত রায়চৌধুরী, হুগলি জেলার আহ্বায়ক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও ছিলেন জেলার দুই তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝি এবং কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। তবে সকলের উপস্থিতিকে ছাপিয়ে যায় নেতা আকবর আলির উপস্থিতি।
আকবর আলি বলেন, “কাগজে পড়েছি বটে, কিন্তু আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, এমন কোনও খবর দলের তরফে কেউ আমাকে জানাননি।” আরামবাগ মহকুমার জন্য গঠিত তৃণমূলের বিশেষ কমিটির সভাপতি তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদার বলেন, “দলের নেতা মুকুল রায়ের নির্দেশে আকবর আলিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উনি তা জানেন না বলে যে দাবি করছেন, তা মিথ্যা। আর, যাঁরা অনুষ্ঠানে বহিষ্কৃত কাউকে জায়গা দিচ্ছেন, তাঁরাই দলকে জবাব দেবেন।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত বলাগড়ের বিধায়ক অসীম মাঝিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “এই ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” |
|
|
|
|
|