মাস কয়েক আগে একটি কারখানায় কাজ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের সেকেন্দ্রাবাদের চেঙ্গাচালিতে গিয়েছিলেন হিন্দমোটরের রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় বাইন (২২)। গত বুধবার মারা যান তিনি। সেকেন্দ্রাবাদের গাঁধীনগর স্টেট হাসপাতালে তাঁর ময়না-তদন্ত করা হয়। হুগলি জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, কাগজপত্র থেকে জানা গিয়েছে, সর্পদষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন সঞ্জয়। |
কিন্তু ওই রিপোর্ট মানতে নারাজ সঞ্জয়ের পরিবার-পরিজন এবং এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, খুন করা হয়েছে সঞ্জয়কে। রবিবার সঞ্জয়ের দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে আনা হয় হিন্দমোটরে। তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। ফের ময়না-তদন্ত করাতে হবে, এই দাবি তুলে রবিবার স্থানীয় মানুষ দু’দফায় হিন্দমোটরে জিটি রোড অবরোধ করেন। তাঁদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন। যে যুবকের মাধ্যমে কাজ জুটিয়ে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন সঞ্জয়, তাঁকে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়। কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় অবরোধকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও উত্তেজিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চালান। পরে ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। বেলা ১২টা থেকে এই পরিস্থিতির জেরে নাকাল হন বহু সাধারণ মানুষ।
পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “ওই রাজ্যের হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। সেখান থেকে পাঠানো মৃত্যুর যাবতীয় কাগজপত্রে সর্পদংশনের কথা পরিষ্কার। ফলে, এখানে নতুন করে ময়না-তদন্ত করা সম্ভব নয়।” অন্য দিকে, সঞ্জয়ের বাবা স্বপন বাইন ও মা মাধবীদেবীর বক্তব্য, “আমাদের ধারণা, ছেলে অন্য কোনও ভাবে মারা গিয়েছে। তাই ফের ময়না-তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের কোনও কথা শুনতে চাইল না।” |