|
|
|
|
চাষে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত সিপিএম,
পাণ্ডুয়ায় আজ প্রতিবাদ মিছিল তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডুয়া |
গোলমালের ঘটনায় সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আজ, সোমবার পাণ্ডুয়ায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। এক কৃষককে চাষে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের কৃষক সমিতির মহিলা সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাধাদানকারীরা খেতমজুরদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। গোলমাল সামলাতে এলে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। পাঁচ পুলিশকর্মী-সহ বেশ কয়েক জন অল্পবিস্তর আহত হন। লাঠি চালিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। গ্রেফতার করা হয় ১৯ জনকে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার পাণ্ডুয়ার হরাল-দাসপুর পঞ্চায়েতের তারাজোল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ মণ্ডল নিজের ৫ বিঘা জমিতে খেতমজুর লাগিয়ে কাজ করছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই সেখানে লাঠিসোঁটা হাতে চড়াও হন সিপিএমের কৃষক সমিতির মহিলারা। ‘নির্দেশ’ না মানায় লতিফ-সহ খেতমজুরদের মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পাণ্ডুয়া থানার ওসি দেবর্ষী সিংহ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। হামলাকারীরা পুলিশকেও রেয়াত করেনি। ওসি-সহ পাঁচ পুলিশকর্মী আহত হন। ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) সমীরকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং মগরার সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবব্রত দুবে একাধিক থানার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। লাঠি চালিয়ে হামলাকীরাদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। আহতদের পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। ধৃতদের রবিবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। সকলকেই জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ জানায়, ২০ বিঘা একটি জমি নিয়ে লতিফদের পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। সেই নিয়ে মামলাও চলছে। লতিফের অভিযোগ, “ওই বিবাদের কারণেই সিপিএম আমাকে চাষে বাধা দিচ্ছিল। মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বলছিল। গত কয়েক দিন ধরে গ্রামের খেতমজুরদের আমার জমিতে আসতে দিচ্ছিল না। তাই, শনিবার বাইরে থেকে লোক এনে চাষ করছিলাম। তখনই মহিলারা চড়াও হল। পরে সিপিএমের পুরুষ কর্মীরাও তাতে যোগ দেয়।”
অভিযোগ অস্বীকার করে পাণ্ডুয়ার বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা আমজাদ হোসেন বলেন, “আসলে তৃণমূল ওখানে উত্তেজনা ছড়ায়। ওদের লোকেরা আমাদের কৃষক সমিতির লোকজনের উপর চড়াও হয়। মহিলাদেরও মারধর করতে ছাড়েনি। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে।” পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, “নিজের জমিতে কৃষককে চাষ করতে দিচ্ছে না সিপিএম। মারধর করছে। আবার উল্টো অভিযোগও করছে। এটা হাস্যকর।” আনিসুল বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ ছিল না। কিন্তু সিপিএমের এই অত্যাচারের পরে আমরা আর মুখ বুজে থাকব না। আন্দোলনে নামব। সোমবার মিছিল করে মানুষের কাছে ওদের স্বরূপ তুলে ধরব।” |
|
|
|
|
|