|
|
|
|
রোহতাস |
বিক্ষুব্ধ সুগ্রীবকে ‘শিক্ষা’ দিতেই হামলা মাওবাদীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
কৈমুরাঞ্চল বিকাশ মোর্চার নেতা সুগ্রীব সিংহ খেরওয়ারকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতেই কাল রাতে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। রাজ্য পুলিশের ডিজি নীলমণি আজ এ কথা জানিয়ে বলেন, “প্রথমে আমরা জেনেছিলাম হামলায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে জানা গিয়েছে, তিন জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক জন সুগ্রীবের নিজের ভাই। বাকি দু’জন তুতো ভাই। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, সুগ্রীবকে শিক্ষা দিতেই এই আক্রমণ মাওবাদীদের।”
পুলিশ সূত্রে খবর, জাতপাতের ভিত্তিতে লড়াইয়ের জেরে মাসখানেকের মধ্যেই রোহতাস এবং কৈমুরে মাওবাদী সংগঠন থেকে বেরিয়ে এসে সুগ্রীব সিংহ খেরওয়ারের নেতৃত্বে কৈমুরাঞ্চল বিকাশ মোর্চা নামের একটি নতুন সংগঠন গঠিত হয়েছিল। তখন থেকেই আদিবাসী সম্প্রদায় খেরওয়ারদের সঙ্গে লড়াই তীব্র হচ্ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-র। এর মধ্যে ওই জেলায় মাওবাদী সংগঠনের ৯ জন স্কোয়াড সদস্য আত্মসমর্পণও করে। তার আগে মাওবাদীর মধ্যেকার এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ওই এলাকার প্রথম সারির মাওবাদী নেতা বীরেন্দ্র রাণা ওরফে বীরেন্দ্র যাদব। পুলিশ সূত্রে খবর, বীরেন্দ্রকে মারার পিছনে আত্মসমর্পণকারী ওই ৯ জন মাওবাদীর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। মাওবাদীদের হাতে তাদের প্রাণ সংশয় হতে পারে বুঝেই ওই ৯ জন আত্মসমর্পণ করে। এর পরে ওখানকার মাওবাদী নেতারা আরও খেপে যায় সুগ্রীব এবং তাঁর দলবলের উপরে। প্রতিশোধ
নিতেই তাই কাল মাওবাদীরা হামলা চালায় রোহতাসের নওহাট্টা থানার বান্ডা গ্রামে। নীলমণি বলেন, “হামলার পর আজ সকাল থেকে পুলিশের যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সীমানা ঘেঁষা কৈমুর ও রোহতাসের পাহাড়ি এলাকায়। এই অভিযানে চার কোম্পানি কোবরা, চার কোম্পানি সিআরপিএফ ছাড়াও এসটিএফ এবং বিহার মিলিটারি পুলিশের জওয়ানেরা রয়েছেন।” এই অভিযানে সামিল রাজ্যের আইজি (অপারেশন) কে এস দ্বিবেদী, সাহাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি সুশীল খোপড়ে এবং রোহতাসের পুলিশ সুপার মনু মহারাজও। নীলমণি বলেন, “আমরা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলি ঘিরে ফেলে অভিযান শুরু করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।” |
|
|
|
|
|