|
|
|
|
পশ্চিমবঙ্গের পরে এ বার তৃণমূলের নিশানায় ত্রিপুরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গের পর এ বার ত্রিপুরায় সিপিএম-শাসনের অবসান ঘটাতে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায় সম্প্রতি জানান, ত্রিপুরার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে হারানোই তাঁদের আশু লক্ষ্য। সে জন্য তাঁরা এখন থেকেই সেখানে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে তৎপর হচ্ছেন। মুকুলবাবু আরও জানান, ত্রিপুরা থেকে বামশাসন উচ্ছেদ করতে কংগ্রেসও তাঁদের সঙ্গে জোট করতে চাইলে তাদের স্বাগত জানানো হবে। ত্রিপুরার অন্যান্য দলও জোট চাইলে তাঁরা কথা বলবেন।
আগামী ২০ অগস্ট ত্রিপুরার আগরতলায় একটি সমাবেশ হবে। সেখানে থাকবেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ও হাজি নুরুল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদ। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সমাবেশে যাবেন না। ওই সমাবেশ থেকেই ত্রিপুরা তৃণমূলের পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক হবে। প্রসঙ্গত, এ বছর পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের পরাজয়ের পর এখন ত্রিপুরাই ভারতের একমাত্র বাম-শাসিত রাজ্য।
মুকুলবাবুর বক্তব্য, “ত্রিপুরাবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সিপিএমের অপশাসন থেকে মুক্তির আর্জি জানিয়েছেন। ২০১২ বা ’১৩যখনই সেখানে বিধানসভা ভোট হোক, সিপিএমকে হঠাতেই হবে।” মুকুলবাবুর অভিযোগ, “ত্রিপুরায় পাহাড়-জঙ্গল এলাকায় ২০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৯টিতে সিপিএম জেতে ফ্যাসিস্ত কায়দায়। যেমন এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে তারা জিতত।” মুকুলবাবু আরও বলেন, “গত ১১ জুলাই ত্রিপুরায় পুলিশের লাঠিতে ১৭ জন সাংবাদিক জখম হয়েছেন। এর জন সাংবাদিক নিহত। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।”
ত্রিপুরায় এনসিটি (ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ত্রিপুরা)-র সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয়েছে বলে মুকুলবাবু জানান। মুকুলবাবুর সঙ্গে ছিলেন এনসিটি-র প্রাক্তন বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মা এবং তৃণমূলের ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি মানিক দেব।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে অর্থাৎ দলের জন্মের বছরেই তৃণমূল ত্রিপুরায় লোকসভা আসনে লড়েছিল। গত ২০০৮ সালে সেখানকার বিধানসভা ভোটেও প্রার্থী দিয়েছিল তারা। কিন্তু জেতেনি। এখন সেখানে তৃণমূলের ১২ লক্ষ সদস্য আছে বলে মুকুলবাবুর দাবি। |
|
|
|
|
|