|
|
|
|
হাফলং |
বেতনের দাবিতে কার্যত ‘বিদ্রোহ’ এসপিও-দের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বেতনের দাবিতে কার্যত ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করলেন ডিমা হাসাও জেলার স্পেশাল পুলিশ অফিসার (এসপিও)-রা। জেলার বিভিন্ন শিবির থেকে আজ বিকেলে বেরিয়ে আসেন তিন শতাধিক জওয়ান। হাতে হাতে এসএলআর। জমায়েত হন হাফলং রেলস্টেশনে। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাফলং শহরে। ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিৎ সিংহ পানেসর। প্রস্তাব দেন পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। কিন্তু ক্ষুব্ধ এসপিও-রা কোনও কথায় রাজি নন। তাঁদের অভিযোগ, এক দিকে বেতন নেই। খাওয়া-পরার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে তিন দিন আগে পুলিশ সুপার ডি কে রামাশেট্টির সঙ্গে তাঁরা দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সময় দেননি। তাই তাঁরা সন্ধ্যায় ট্রেনে চেপে রওনা দেন লামডিংয়ের উদ্দেশে। সেখান থেকে গুয়াহাটি গিয়ে কথা বলবেন রাজ্যের পুলিশ প্রধানের সঙ্গে।
নরেশ বারই নামে এক এসপিও নেতা জানান, ব্রডগেজ ও ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণের কাজে নিরাপত্তার জন্য ২০০৭ সালে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক, আধা-সামরিক এবং পুলিশ-হোমগার্ডদের মধ্য থেকে বাছাই করে তাঁদের কাজে নিয়োগ করা হয়। মাসে ৮,২০০ টাকা বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেওয়া হচ্ছিল ৪,৫০০ টাকা করে। ওই টাকাও আবার নিয়মিত মিলছিল না। এ নিয়ে বছর দেড়েক আগেও তাঁরা একবার বিদ্রোহ করেন। হাফলঙে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালে বকেয়া মেটানো-সহ নিয়মিত বেতন প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ক’মাস পরেই ফের আগের অবস্থা।
নরেশ বারইয়ের অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন মিলছিল না। গুয়াহাটি গিয়ে ধরনার পর মে-তে সরকার ৮,২০০ টাকা হারে বেতন পুনঃনির্ধারণ করে। কিন্তু ওই টাকা মাত্র এক মাস তাঁদের হাতে পৌঁছায়। ফলে আগের হারে তিন মাস এবং পুনঃনির্ধারিত হারে দু’মাসের বেতন বকেয়া পড়ে রয়েছে। এসপিও-দের আরও অভিযোগশুধু বেতন নয়, নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে পাহাড়ে-জঙ্গলে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে। ক্যাম্পে ফিরে এসেও ন্যূনতম শান্তি নেই। অধিকাংশ ক্যাম্পেই পানীয় জল মেলে না, নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পানেসর বলেন, বেতন না পাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। এসপি-র সঙ্গে কথা বলে একটা উপায় বের করা যেত। কিন্তু তাঁরা রাজি হলেন না। তবু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানানো হচ্ছে। |
|
|
|
|
|