|
|
|
|
নারী-নিগ্রহে দায়ী নয় পোশাক, দিল্লিতে মিছিল |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মাস চারেক আগে টরন্টোয় শুরু হয়েছিল সেই প্রতিবাদ মিছিল। তার রেশ এ বার পৌঁছল নয়াদিল্লিতেও। আজ রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছিল ‘স্লাটওয়াক’ নামে ওই মিছিলের। শহরের নানা এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এসে জড়ো হন যন্তরমন্তরে।
এ বছরের এপ্রিলে কানাডার রাজধানী টরন্টোয় প্রথম বারের জন্য সংগঠিত হয়েছিল ‘স্লাটওয়াক’। মহিলাদের উপর শারীরিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই ছিল সেই মিছিলের মূল উদ্দেশ্য। কানাডার পুলিশের এক কনস্টেবলের বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল ‘স্লাটওয়াক’। ওই কনস্টেবলের বক্তব্য ছিল, নিজেদের উপর শারীরিক নিগ্রহ রুখতে মহিলাদেরই বেশি করে সচেতন হওয়া উচিত। তাঁদের উচিত যথাযথ পোশাক পরে রাস্তায় বেরোনো। কোনও পুরুষকে প্ররোচিত করার জন্য মহিলাদের উপরই দায় চাপিয়েছিলেন ওই কনস্টেবল। |
|
রাজধানীতে প্রতিবাদ মিছিল। রবিবার। ছবি: এ এফ পি |
বলেছিলেন, “মেয়েদের উচিত রাস্তায় ‘স্লাটের’ (যৌনকর্মী) মতো পোশাক পরে বেরোনো অবিলম্বে বন্ধ করা।”
এর পরই গোটা বিশ্ব জুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। ওই মন্তব্যের প্রতিবাদস্বরূপ শুরু হয় ‘স্লাটওয়াক’। প্রথমে কানাডায় ও পরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে সেই মিছিল। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তাও পায় ‘স্লাটওয়াক’। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বলতে শুরু করেন, “ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধকে ঢাকা দেওয়ার জন্য মেয়েদের পোশাককে কোনও ভাবেই দায়ী করা যায় না। মেয়েরা ধর্ষিতা হন, কারণ তাঁরা মেয়ে বলেই। এর সঙ্গে পোশাকের প্ররোচনার কোনও সম্পর্কই নেই।”
ভারতে ভোপালে এর আগে এই ধরনের মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। রাজধানী দিল্লিতে অবশ্য আজই প্রথম বার। বিশ্বের অন্যান্য শহরের মহিলারা এত দিন যথেষ্ট খোলামেলা পোশাক পরেই ‘স্লাটওয়াকে’ অংশগ্রহণ করে এসেছেন। ওই কনস্টেবলের মন্তব্যের প্রতিবাদেই এই রীতি চালু হয়েছিল। কিন্তু দিল্লিতে আজ সে রকম কিছু হয়নি। মানেসার থেকে এসেছিলেন নিশতা নামে এক গৃহবধূ। সঙ্গে এনেছিলেন তাঁর দু’বছরের মেয়েকে। নিশতা বললেন, “আমি এখানে এসেছি যাতে আমার মেয়েকে কখনও এই ধরনের মিছিলে আসতে না হয়। আমরা যদি এখন থেকেই প্রতিবাদ না করি, ভবিষ্যতে আমার মেয়েকেও হয়তো একই অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হবে।” সমাজকর্মী, অভিনেত্রী ও রাজনীতিক নাফিসা আলিও এসেছিলেন মিছিলে অংশগ্রহণ করতে। তাঁর কথায়, “মহিলাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গোটা সমাজেরই নেওয়া উচিত।”
|
|
|
|
|
|