|
|
|
|
রাজধানী এলে মমতাকে খাওয়াতে চান মীরা কুমার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধানীতে এলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
নতুন কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলে তাঁকে নিজের বাসভবনে ডেকে চা খাওয়ান স্পিকার। এটাই নিয়ম। সেই মতো রবিবার সন্ধেয় নিজের বাসভবনে নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মীরা কুমার। সুদীপবাবুর কাছ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ-খবর নেন তিনি। জানতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কবে দিল্লি আসবেন। মমতা দিল্লি এলে নিজের বাসভবনে তাঁকে মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে ডাকার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার। পাশাপাশি সাংসদ হিসাবে মমতার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু দিন ধরে সাংসদ ছিলেন। সাংসদ হিসাবে আমাদের অনেক সদর্থক পরামর্শও দিয়েছেন। তাতে আমরা লাভবান হয়েছি।” সুদীপবাবুও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি এই কথা জানাবেন।
এ ছাড়াও দু’জনের মধ্যে সংসদে তৃণমূল সাংসদদের ঘর নিয়েও কথা হয়। সংসদে তৃণমূল যাতে একটি আলাদা ঘর পায়, সেই ব্যাপারটি দেখার জন্য ফের স্পিকারকে অনুরোধ জানান সুদীপবাবু। ব্যাপারটি দেখার আশ্বাস দেন মীরা কুমার।
এই মুহূর্তে সংসদে তৃণমূলের কোনও ঘর নেই। মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর ঘরে দলীয় কৌশল নিয়ে আলোচনা করতেন তৃণমূলের সাংসদরা। কিন্তু মমতা রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর সেখানে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাই বৈঠক বা সংসদে দলীয় রণকৌশল ঠিক করার জন্য সুদীপ-দীনেশ-তাপস পালদের একটি ঘরের প্রয়োজন। আগেও সেই কথা মীরা কুমারকে জানিয়েছিলেন সুদীপ।
এ দিন মীরা কুমারকে এই অসুবিধার কথা আর এক বার জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। মীরা কুমার জানান, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকে তিনি তাঁদের ঘরটি তৃণমূল সাংসদদের জন্য ছেড়ে দিতে বলেছেন।
আরজেডি-র সাংসদ সংখ্যা কমে যাওয়ায় তাঁরা আর ওই ঘরটির দাবিদার নন। কিন্তু লালুপ্রসাদ ঘরটি ছাড়তে রাজি হননি। ফের এই বিষয়ে তিনি লালুপ্রসাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তা না হলে তৃণমূল সাংসদদের জন্য অন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার। |
|
|
|
|
|