|
|
|
|
টু জি কাণ্ড |
প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সাফাই পিএমও-র |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টু-জি কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হয়ে সাফাই দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)। জানানো হল, জেনে না জানার ভান করে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে তিনি তেমন কিছুই জানতেন না। সিদ্ধান্তগুলির ব্যাপারে মতামতও দেননি তিনি। টু-জি সংক্রান্ত পদক্ষেপ করার জন্য তিনি টেলিকম দফতরের উপরেই নির্ভর করেছিলেন। আগামী কালই শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। টু-জি স্পেকট্রাম-সহ বিভিন্ন দুর্নীতি কাণ্ডে ইউপিএ সরকারকে কোণঠাসা করতে আস্তিন গুটিয়ে তৈরি বিজেপি। কর্নাটকের জমি বণ্টন নিয়ে কংগ্রেস যাতে পাল্টা আওয়াজ না তুলতে পারে সে জন্য ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতেও কসুর করেনি তারা। তার আগের দিনই, আজ, টু-জি কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দোষ প্রমাণ করতে এক দফা সাফাই দিল পিএমও।
পিএমও-র বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, টেলিকম দফতরের গৃহীত সিদ্ধান্তে ত্রুটি রয়েছে তা জানতে পেরেছেন অথচ সে সম্পর্কে উদাসীন থেকেছেন এমন হয়নি। যে সময় নাগাদ টু-জি’র লাইসেন্সের দর সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছিল, সেই ২০০৮ সালের ২৩ জানুয়ারি টেলিকম দফতরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথনের উল্লেখও করা হয়েছে পিএমও-র বিবৃতিতে। জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কথাবার্তা ছিল সৌজন্যমূলক। লাইসেন্সের দর নিয়ে কথাই হয়নি। পিএমও-র তরফেও জানানো হয়েছে, টু-জি’র সিদ্ধান্তের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের উপরেই নির্ভর করেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই প্রাক্তন মন্ত্রী এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান টু-জি দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগ করায় এমনিতেই বেকায়দায় কংগ্রেস। জেলবন্দি রাজা তাঁর অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দিকে। জানিয়েছেন, টু-জি নিয়ে গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত তাঁদের সম্মতিতেই নেওয়া হয়েছে। এই অস্বস্তি কাটার আগেই টেলিকম দফতরের জেলবন্দি প্রাক্তন সচিব বেহুড়া জানান, টু-জি লাইসেন্সের দর বাড়ানোর ব্যাপারে নীরব ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সুব্বারাও। তাই এনডিএ জমানার দরই কার্যকর হয় ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সবই জানতেন চিদম্বরম এবং প্রধানমন্ত্রী। এই সব অভিযোগের ভার বাদল অধিবেশন শুরুর আগে লাঘব করতেই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে ব্যাখা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|