পর্যটনের বিকাশে পরিকল্পনা
পাহাড় ও ডুয়ার্সকে এক সুতোয় বেঁধে পর্যটন শিল্প বিকাশে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। পুজোর আগেই ওই বিষয়ে একটি প্যাকেজ চালু করার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। এ জন্য পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে চুক্তি সম্পাদনের পরেই পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন। পর্যটন মন্ত্রী বলেন, “পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের চুক্তি সম্পাদনের পরে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছি। ওই সময় পাহাড় ও ডুয়ার্সকে নতুন ভাবে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার প্রতিটি সম্ভাবনা সরজমিনে খতিয়ে দেখব।” পর্যটন দফতর মনে করছে পাহাড় ও ডুয়ার্সকে এক সূত্রে গাঁথা সম্ভব না হলে উত্তরবঙ্গে পর্যটন শিল্পের সার্বিক বিকাশ সম্ভব হবে না। সে জন্যই পর্যটকদের দুটি গন্তব্যস্থলকে এক রুটে মেলানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেও পাহাড় উত্তপ্ত থাকায় পর্যটকরা ডুয়ার্সের চালসা, গরুমারা ঘুরে ফিরে চলে যেতেন। অনেকেই ভ্রমণের জন্য বেছে নিতেন সিকিম। ডুয়ার্সে যে আরও অনেক কিছু দেখার আছে সেটা আজও অজানা রয়েছে। পর্যটন দফতরের কর্তারা মনে করছেন ওই পরিস্থিতি পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে মোটেও সুখকর নয়। সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে পাহাড়ের পাশাপাশি ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুজোর আগেই তা চালু হয়ে যাবে। পর্যটন দফতরের উদ্যোগে খুশির হাওয়া লেগেছে পর্যটন ব্যবসায়ী মহলে। পরিকাঠামো গড়ে তোলার মতো পড়ে থাকা দাবিগুলি এ বার রূপায়ণের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্যুর অ্যাণ্ড ট্রাভেল অপারেটার অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার সম্রাট সান্যাল বলেন, “ডুয়ার্স পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হলেও আজও ওই এলাকার পর্যটনকে সুসংহত করা সম্ভব হয়নি। লাটাগুড়ি, রামসাই, মাদারিহাট, সামসিং, জয়ন্তী সবই বিক্ষিপ্তভাবে জনপ্রিয়। ওই কারণে পর্যটকরা ডুয়ার্সের জঙ্গল কোচবিহার ছুঁয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে চলে যাচ্ছেন। অথচ এখানে অন্তত দু’সপ্তাহের প্যাকেজ রয়েছে।” সমস্যার এখানেই শেষ নয়। বিগত বামফ্রন্ট সরকার ২০০৩-২০০৪ সালে ‘টি ট্যুরিজমের’ প্রকল্প হাতে নিলেও তা কার্যকরী হয়নি। মালবাজার মহকুমার হিলা ও ডামডিম চা বাগান এলাকায় ওই পর্যটন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ভেস্তে যায়। পর্যটন ব্যবসায়ীরা চাইছেন নতুন সরকারের প্যাকেজে ‘টি ট্যুরিজম’ থাকুক। ট্যুর অপারেটার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুমিত বটব্যাল বলেন, “একটি বছরের শেষ থেকে নতুন বছরের গোড়ার ১২০ দিন ডুয়ার্সের পর্যটন ক্যালেন্ডার হিসেবে গন্য হত। কিন্তু গত বছর থেকে দেখা যাচ্ছে ১২০ দিন পৌছে গিয়েছে ২০০ দিনে। সমস্যা হয়েছে ওই সময় পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো ডুয়ার্সে গড়ে ওঠেনি।” পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে গত বছর পুজোয় পাহাড়ে ৫ হাজার পর্যটক ছিল। ওই সময় ডুয়ার্সে প্রায় ১৫ হাজার পর্যটকের ভিড় ছিল। এ বার সংখ্যাটা ২০ হাজারে পৌছবে এমনটাই বিভিন্ন মহলের আশা।
Previous Story Business Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.