নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল বেজে ওঠায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক বাজেয়াপ্ত করেছিলেন এক ছাত্রের উত্তরপত্র, মোবাইল ফোন ও অ্যাডমিট কার্ড। ডেকে পাঠিয়েছিলেন অভিভাবককে। পর দিন, শনিবার ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ মেলে নিজের বাড়িতেই। বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের নাম প্রিয়ব্রত দাস (২১)। বাড়ি লাভপুরের বড়গোদা গ্রামে। মৃতের বাবা সুশীল রায় ওই পরীক্ষা কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সমিত রায় এবং ওই পরীক্ষাকক্ষের দায়িত্বে থাকা আর এক শিক্ষিকা সোমা সুকুলের বিরুদ্ধে থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পাস পেপারের পরীক্ষা হচ্ছিল। সে সময়ে প্রিয়ব্রতর মোবাইল বেজে ওঠে।
তাঁর সহপাঠীদের অভিযোগ, এরপরেই ক্লাসরুমের মধ্যে সকলের সামনে অপমান করা হয় প্রিয়ব্রতকে।
ওই ছাত্রের মৃত্যুর জন্য সমিতবাবুকে দায়ী করেছে ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে রবিবার বিশ্বভারতীর আশ্রম এলাকায় মৌনী মিছিল করেন ওই দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা। ঘটনার তদন্তের দাবি জানান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য উদয়নারায়ণ সিংহের কাছে। সমিতবাবু বলেন, “পরীক্ষা চলাকালীন ওই ছাত্রের মোবাইল বেজে ওঠে। সে অন্যের কাছ থেকে মোবাইলের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর জেনেছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।” ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের বক্তব্য, “একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ, সোমবার বিকেলের মধ্যে ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে।”
প্রিয়ব্রতর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নিশাদ পারভেজ বলেন, “মঙ্গলবার রাতে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের দুই দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা সমিত রায় ও সোমা সুকুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান প্রিয়ব্রতের বাবা সুশীল দাস। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |