অভিযোগ সিপিএমের
কাটোয়ায় বাড়ছে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, ‘নিষ্ক্রিয়’ পুলিশ
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় কাটোয়ার বিভিন্ন গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। মহকুমাশাসকের কাছে এমনই অভিযোগ জানালেন সিপিএম নেতৃত্ব। রবিবার সিপিএম নেতা তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “কাটোয়ার গুসুম্বা গ্রামে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দাপাদাপিতে এলাকার মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। পুলিশ-প্রশাসন নিশ্চুপ। সেই কারণে আমরা মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি।”
কাটোয়ার মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, “শনিবার সিপিএম নেতারা আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।” সিপিএমের অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক দিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এনে গুসুম্বা গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
সিপিএম নেতা অভেদানন্দ ঠাকুর, সুরাৎ আলিদের অভিযোগ, “গুসুম্বায় তোলাবাজি, বোমাবাজি করছে দুষ্কৃতীরা। শুধু আমাদের সমর্থকেরাই নন, দুষ্কৃতীদের দাপটে কংগ্রেসের লোকজনও ঘরছাড়া হচ্ছেন।” সিপিএমের দাবি, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের জন্য ওই গ্রামের দাসপাড়া কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। কয়েক জন মহিলাও গ্রামছাড়া।
গুসুম্বা গ্রাম কাটোয়া থানা এলাকার অন্তর্গত হলেও মঙ্গলকোট বিধানসভা আসনের অধীন। এলাকার বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরী রবিবার কাটোয়া জোনাল কমিটি অফিসে বসে বলেন, “দলের তরফে কাটোয়া মহকুমা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বেশ কয়েক বার স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ১৩ জুলাই এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।”
সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেস নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, তাঁদের প্রায় ১০০ কর্মী-সমর্থক গ্রামছাড়া। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় আলমপুর পঞ্চায়েতের সদস্য সুজাতা সাঁই দেড় বছর ধরে বাড়ির বাইরে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, গুসুম্বার পাশের গ্রাম অর্জুনডিহিতে একটি পুলিশ শিবির রয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই গ্রামে অস্ত্র ব্যবসা চলছে। পুলিশ নীরব।
কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, “ওই এলাকায় সিপিএম-ই সন্ত্রাস জিইয়ে রেখেছে। পুলিশ তাতে মদত দিচ্ছে।” পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি একটি শিবির বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিকে, মঙ্গলকোট গ্রামে পুলিশ ও তৃণমূলের গুলি বিনিময়ের পরে রবিবারও এলাকা ছিল থমথমে। পুলিশ এ দিনও সেখানে তল্লাশি চালায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।
Previous Story Bardhaman Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.