রবিবাসরীয় গল্প
কাচের দেওয়াল
ড় বড় পা ফেলে হাঁটছিল সে। পেটানো চেহারা, পাঁচ ফুট ছ’ইঞ্চি উচ্চতা, কালো প্যান্ট, সাদা ফুলহাতা জামা, পায়ে সাদা স্নিকার, মাথার চুল টেনে পিছনে খোঁপা করে বেঁধে কালো জাল আটকানো। সে হাঁটছিল, রাস্তার হলুদ আলোয় তার ছায়া পড়েছিল আরও লম্বা হয়ে। সে যেন প্রতিটি পদক্ষেপ বাড়াচ্ছিল ছায়াটাকে ধরবে বলে কিন্তু ছায়াটা তত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল তার সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে।
এমনিতে তার অত ভয়ডর নেই, কিন্তু ক’দিন আগে এই মোড়টায় দুই পার্টির মারপিটে এক জন খুন হয়ে যায়। সেই থেকে এই জায়গাটা পেরনোর সময় একটু গা ছমছম করে। নিজের ছায়ার দিকে তাকিয়ে সে একবার হাসল। স্টেশন থেকে তার বাড়ি বেশ অনেকটা পথ। অন্য দিন মনে হয় রাস্তা যেন আর ফুরায়ই না। আজ হঠাৎ খেয়াল হল কোথা দিয়ে যেন সে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। দ্রুত হাঁটার জন্য তার শরীরে সামান্য ঘাম হচ্ছে বটে, তবে বাতাসে হিমেল স্পর্শ পাওয়া যায়। দেড় দু’ঘণ্টা আগেও অবশ্য তা টের পাওয়া যায়নি। শহরের বাতাসে এখনও হিম ছোঁয়নি।
ক্লান্তিতে চুরচুর হয়ে আসছে শরীর। অন্য দিন ট্রেনে উঠেই লম্বা একটা ঘুম দেয় সে, আজ তাও হয়নি। সে এক বার হাত বুলায় তার সুঠাম ঊরুর ওপর, তাকে হঠাৎ দেখলে খেলোয়াড় বলে ভুল করে অনেকেই। তারও গাল ঈষৎ ভাঙা, চোয়াল কঠিন।
অথচ ভদ্রমহিলা, কী অপূর্ব মুখখানি, চোখের ওপর যেন আঠা হয়ে লেগে আছে এখনও। ঢলঢলে চেহারা, ভাসা ভাসা চোখ দু’টিতে সারল্য মাখা। অথচ বয়স তো খুব কম না, তার থেকে বড়ই হবে খানিকটা। চিকন ত্বক থেকে যেন আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল তখনও। উল্টো দিকের সিটে এসে বসতেই চোখ চলে গিয়েছিল ওঁর ওপর। অত রাতের ট্রেনে এমনিই লোক কম তার মধ্যে মহিলা কামরায় তো আরও কম, যাও বা দু’চার জন থাকেন তারাও দমদম, সোদপুরের মধ্যেই নেমে যান।
ভদ্রমহিলা উঠেছিলেন দমদম স্টেশন থেকে। উঠেই জনে জনে জিজ্ঞাসা করছিলেন, দিদি কোথায় যাবেন? আগরপাড়া, সোদপুর, ব্যারাকপুর শুনে মুখ এতটুকু হয়ে যাচ্ছিল ওঁর। কেউ থাকবেন না কল্যাণী পর্যন্ত? সবাই নির্বিকার। সবাই আড়ে আড়ে দেখছে ভদ্রমহিলাকে। ট্রেনের অন্য যাত্রীদের সঙ্গে ভদ্রমহিলার সাজপোশাক বড়ই বেমানান। এই ট্রেনে যারা দু’এক জন ফেরেন, তাঁরা খেটে খাওয়া মানুষ, মলিন কাপড়, মলিন ব্যাগ, চোখে-মুখে ক্লান্তি। ভদ্রমহিলার পরনে একটা আকাশ নীল তসরের শাড়ি, কানে মুক্তোর ছোট ঝোলা দুল, গলায় মুক্তোর মালা, এক হাতে সোনার কঙ্কন অন্য হাতে ঘড়ি। ভদ্রমহিলার কাঁচুমাচু মুখ দেখে হয়তো মজা পাচ্ছিল সবাই।
এক জন বলল, এমনিতে তো ভয়ের কিছু নেই, তবে চুরি ছিনতাই যদি হয়টয়। অমনি ভদ্রমহিলা আঁচলে হাতটা জড়িয়ে নিলেন। আর এক জন বলল, আরে ওই দেখুন পুলিশরা তো আছে, ভয় কী? ভদ্রমহিলা বললেন, পুলিশদেরই তো ভয়! লেডিজ কামরায় উঠে খুব ভুল হয়ে গেছে। আমি না হয় একটু পরে জেনারেল কামরায় চলে যাব। এক জন বলল, সেই ভাল, ওখানে বরং দু’এক জন লোক পেয়ে যাবেন।
অনেকক্ষণ থেকে চুপ করে বসে ছিল সে। সব দেখছিল কিন্তু কিছু বলছিল না। এ বার মুখ খুলল, খানিকটা ধমকের সুরেই বলল, অত ভয় পাওয়ার কী আছে? আমি থাকব, আমি।
আপনি থাকবেন? ভদ্রমহিলার মুখে যেন হাজার বাতি জ্বলে উঠল। বাব্বা বাঁচলাম। কোথায় যাবেন আপনি?
চাকদা। রোজ যাই। যখন চাকদা আসে ট্রেনে আমি আর পুলিশ দুটো থাকে। কী হবে তাতে? আজ তো তবু আগের ট্রেনটা ধরেছি, কোনও কোনও দিন এর পরের ট্রেনও ধরি। আমার অত ভয়ডর নেই। অত ভয়ের কী আছে?
ভদ্রমহিলা একটু অপ্রস্তুত লাজুক লাজুক হেসে বললেন, না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, তা বলবেন না, বিপদ রোজ রোজ ঘটে না এক দিনই ঘটে।
সে কিছু না বলে শুধু বলল, ধুস!
ভদ্রমহিলা ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন বের করে সম্ভবত স্বামীকে ফোন করলেন, এই শোনো, ট্রেনে দু’এক জন আছেন, ওঁরা বললেন, কোনও চিন্তা নেই। এক জন দিদি তো চাকদহ পর্যন্ত যাবেন। তিনি রোজ যান এই ট্রেনে, আমি ভয় পাচ্ছি দেখে তো তিনি হাসছেন। শোনো, কৃষ্ণকে দিয়ে গাড়িটা পাঠিয়ে দিয়ো স্টেশনে। ক’টায়? এই সাড়ে এগারোটা নাগাদ। আমার হয়তো ঢুকতে ঢুকতে এগারোটা চল্লিশ, পৌনে বারোটা হতে পারে, তবে গাড়িটা তুমি আগেভাগেই পাঠিয়ে দিয়ো। ফাঁকা স্টেশন তো, আমাকে যেন কোনও ভাবেই স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়, কৃষ্ণকে বলবে গাড়িটা রেখে ও যেন প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। কী বলছ? তুমিও সঙ্গে আসবে? ও, তা হলে তো খুবই ভাল হয়।
ফোনটা রেখে ভদ্রমহিলা তার দিকে তাকালেন, যেন দেরি করে বাড়ি ফেরার জন্য জবাবদিহি করছেন এমন ভঙ্গিতে বললেন, চলচ্চিত্র উৎসবে গেছিলাম। এত দূর থেকে রোজ তো যেতে পারি না, তাই এক দিনই যাই। পর পর চারটে ছবি দেখেছি জানেন। আজ শেষ দিন তো, শেষ ছবিটা আরম্ভ হতে এত দেরি হয়ে গেল, কী ভাল লাগছিল, তাও শেষ দশ মিনিট দেখতে পারলাম না, উঠে আসতে হল। অথচ দেখুন দমদম স্টেশনে এসে দেখি বারাসাত লোকালে কী একটা গণ্ডগোল, আধ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে স্টেশনে, ছাড়ছেই না। এক সময় তো কী ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, ভাবছিলাম বাড়ি বুঝি আর ফেরাই হবে না, বারাসাত লোকাল ছাড়লে তার পর নৈহাটি তার পর রানাঘাট লোকাল। যাক বাবা অবশেষে ছাড়ল, কিন্তু কত রাত হয়ে গেল বলুন তো! ভাবুন তো, যদি আজ বারাসাত লোকালটা না ছাড়ত, যদি সত্যিই বাড়ি ফিরতে পারতাম, কী করতাম! সব কিছু বন্ধ হয়ে যেত আমার। এই বছরে একটা দিন ছবি দেখতে আসা, কী একটা দিন বইমেলায় আসা, সব কিছু বন্ধ হয়ে যেত আমার। আরও যে কী ভয়ঙ্কর অশান্তি হত চিন্তা করতেও হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে আমার।
একদমে কথাগুলো বলছিলেন ভদ্রমহিলা। একটু দম নিয়ে আবার বলতে লাগলেন, খুব একটা রেগে যায়নি ও মনে হচ্ছে জানেন। আসলে ট্রেনের গণ্ডগোল, আমার কী করার আছে বলুন? না হলে তো অনেক আগেই পৌঁছে যেতাম। এটুকুই বা ক’জন পায়, তাই না? অনেক বাড়িতে হয়তো এই নিয়েই তুলকালাম বেধে যেত। আপনি কি অপিস থেকে ফিরছেন? সে এতক্ষণ অবাক চোখে দেখছিল ভদ্রমহিলাকে, সিনেমা দেখতে লোকে এত দূর থেকে কলকাতায় আসে? এত কষ্ট করে, এত ভয় নিয়ে, এত রাতে বাড়ি ফেরে! ভাবছিল এক বার জিজ্ঞাসা করে, ওই বইগুলো আপনাদের ওখানকার হলে আসে না? কিন্তু জিজ্ঞাসা করে না, যে বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা নেই, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত না, এ তার চাকরি থেকেই শেখা।
ভদ্রমহিলা আবার প্রশ্ন করলেন, আপনি কীসে কাজ করেন?
এ বার উত্তর দিল সে, শপিং মলে।
বাঃ, কোথায়? বেশ আলাপি ভদ্রমহিলা। হয়তো নিজের ভয় কাটানোর জন্যই একটু বেশি বেশি কথা বলছেন।
সিটি সেন্টারে।
মানে যেটা সল্ট লেকে?
হ্যাঁ।
ওমা তাই! আমিও তো ওখানেই পুজোর সময় শপিং করি। কোন শপে থাকেন?
ম্যাক্স মার্টে।
ম্যাক্স মার্টে! আরে ওখান থেকেই তো আমি বাড়ির বাচ্চাগুলোর জামা কিনি।
আমি কসমেটিকের দিকে থাকি।
ও। ক’টা থেকে ক’টা অপিস?
সকাল দশটা থেকে রাত সাড়ে ন’টা।
তবে তো বেরোতেও হয় অনেক সকালে?
হ্যাঁ।
কষ্ট হয় না?
অভ্যাস হয়ে গেছে। ফেরার সময় তো তবু ভিড়ের কষ্টটা নেই, যাওয়ার সময় তো অসম্ভব ভিড় থাকে। তবে সেগুলো এমন কিছু নয়, সবচেয়ে কষ্ট কী জানেন? আমাদের কাজে বসার কোনও সিস্টেম নেই, পুরো সময়টাই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
অ্যাঁ! আঁতকে ওঠেন ভদ্রমহিলা, সেই দশটা থেকে সাড়ে ন’টা অবধি দাঁড়িয়ে থাকেন? দুপুরে টিফিন করতে দেয় না?
হ্যাঁ আধ ঘণ্টা লাঞ্চ ব্রেক দেয় আর আমি ওয়াশ রুমে গিয়ে মাঝে মাঝে পাঁচ-দশ মিনিট কাটিয়ে আসি।
আপনাদের কাজ পেতে গেলে ন্যূনতম যোগ্যতা কী?
গ্র্যাজুয়েশন আর বাংলা, হিন্দি, ইংরাজিতে কথা বলার ক্ষমতা। অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হলেও চলে।
কিছু যদি মনে না করেন, একটা কথা জিজ্ঞাসা করব?
করুন।
মোটামুটি কত মাইনে দেয় আপনাদের?
মাথা ঝাঁকায় সে খুব কম।
তবু কত?
বললাম তো খুব কম।
দু’হাজার?
ও রকমই। আমার এখন অনেক দিনের এক্সপিরিয়েন্স হয়ে গেছে আমাকে হাজার পাঁচেক দেয়।
অন্য শপেও কি একই মাইনে?
না, না। এখানে শপের কোনও ভূমিকা নেই। আমি কোম্পানির মেয়ে। আমাকে টাকা দেয় কোম্পানি। আমি এখন স্কিন দেখে বলে দিতে পারি আপনার আমাদের কোম্পানির কোন প্রোডাক্ট লাগবে, আমাকে তাই এখন বড় বড় জায়গায় পোস্টিং দেয়।
মাত্র এই ক’টা টাকার জন্য এত কষ্ট করেন কেন আপনি? অন্য কোনও চাকরির চেষ্টা করতে পারলেন না?
আমার বাবারও শখ ছিল আমি অন্য কোনও ভাল চাকরি করি।
একটু থেমে ভদ্রমহিলা বললেন, দেখছেন কখন থেকে গল্প করছি অথচ আপনার নামটাই শোনা হয়নি। কী নাম আপনার?
কৃষ্ণকলি।
বাঃ বেশ নাম তো। কয় ভাইবোন?
দুই বোন। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
মা-বাবা বুঝি আপনারই ওপরে?
হুঁ। একের পর এক চাকরির পরীক্ষা দেব আর বাবার ঘাড়ে বসে বসে খাব ও সব আমার ভাল লাগে না বরং পড়া শেষ করার আগেই কাজে নেমে গেছি। মা-বাবাকে দেখতে পারি, নিজের খরচ, নিজের পোশাকআশাক নিজে কিনতে পারি, এই যে প্যান্টটা দেখছেন এটা আমার নিজের পয়সায় কেনা। এই আমার খুব আনন্দ।
তবে আমার এই কষ্ট আর বেশি দিন থাকবে না জানেন।
কী রকম?
আমার যে বয়ফ্রেন্ড, সে খুব বড় ব্যবসাদার। আমাকে সব সময় মুঠোর মধ্যে রাখতে চায়। বলেছে বিয়ের পর আর চাকরিবাকরি চলবে না।
সে কী, আপনার মতো সাহসী বলিষ্ঠ মেয়ে পারবেন চাকরিবাকরি ছেড়ে দিয়ে শুধু ঘর সংসার করতে?
কী করব? ওরা ঘরের বউকে চাকরি করতে দিতে চায় না।
আপনার মতো মেয়ের ওকে ভাল লাগল কী করে?
ওকে দারুণ দেখতে। প্রথম দিন আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল বাইক নিয়ে, দ্বিতীয় দিন মার্সিডিজ। আমাকে ভীষণ আগলে রাখতে চায়, কেউ আমার দিকে তাকালে বা আমি কারও সঙ্গে কথা বললে রেগে যায়, আমার ভীষণ আপন মনে হয়েছে ওকে।
ওর বাড়ি কোথায়?
বাড়ি টালিগঞ্জে কিন্তু ও থাকে বেঙ্গালুরুতে। ওখানে ওর ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা। ওখানে নিয়ে যাবে আমাকে। তার পর আর যখনতখন আসতেও দেবে না এখানে।
মা-বাবা অসুস্থ হলেও যদি আসতে না দেয়?
দুম করে সে রেগে উঠল, ও-সব আর আমি ভাবতে পারি না, আমি এখন শুধু সেলের কথা ভাবি। কোম্পানিকে কত সেল দিতে পারব আর মাসের শেষে কত ইনসেন্টিভ গুনব।
ঝুপ করে যেন কথা থেমে যায় দু’জনের। থেমে যায় তো থেমেই যায়। ট্রেন ছুটে চলে গন্তব্যের দিকে। এক সময় হাত নেড়ে ট্রেন থেকে নেমে যান ভদ্রমহিলা। সেও বাড়ি ফিরে আসে। এই দিনের পরেও তার নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে না। সে এমনি করে রোজ বাড়ি ফেরে। ইতিমধ্যে মাস তিনেক কেটে গেছে। সে-দিন রাতেও বাড়ি ফিরছিল সে, পাশে বসা এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা খবরের কাগজ পড়ছিলেন, সোদপুর আসতেই হাতের কাগজটা মুড়িয়ে সিটের ওপর রেখেই নেমে গেলেন ট্রেন থেকে। সময় কাটাতে কাগজটা তুলে নিল সে। গত কালের রবিবাসরীয়। নেহাত অবহেলায় চোখ বোলাতে গিয়ে গল্পটায় চোখ আটকে গেল তার। আরে এ তো তার চেনা চেনা ঘটনা, পড়তে পড়তে দম বন্ধ হয়ে আসছে যেন, হুবহু তার মুখের কথাগুলো তুলে বসানো! কিন্তু শেষ স্তবক পড়তে পড়তে চোয়াল শক্ত হয়ে গেল তার, আমরা মেয়েরা একটু স্বাধীনতা, একটু বাঁধন ছেঁড়ার জন্য হাপিত্যেশ করি অথচ মেয়েটি যাকে বাঁধবার কেউ নেই এই পৃথিবীতে, যার জীবনে অবাধ স্বাধীনতা, সে একটু বন্ধন একটু আগলের আকাঙ্ক্ষায় মিথ্যে স্বপ্নের জাল বুনছিল সে-দিন।
সে মুঠোর মধ্যে খামচে ধরে কাগজটা, তার পর দলা পাকিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় জানলা দিয়ে। আর প্রায় টলতে টলতে ট্রেন থেকে রাস্তায় নামে। ঝাপসা চোখে সে দেখে পথের দু’পাশের সমস্ত বাড়িগুলোরই যেন কাচের দেওয়াল। বেআব্রু রাত যেন সরু চেরা জিভ দিয়ে আর কোমর জড়িয়ে ধরতে চায়। সে ছুটতে আরম্ভ করে। পালাতে চায় সে কাচের পৃথিবী থেকে।

ছবি: সায়ন চক্রবর্তী
Probondho Rabibasariyo Magazine



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.