টুকরো খবর

শিক্ষকদের গোলমালে স্কুলে বন্ধ কোচবিহারে
প্রধান শিক্ষকের সাথে তার সহকর্মীদের গোলমাল কেন্দ্র করে স্কুলে বন্ধ পালন হল। শুক্রবার কোচবিহার শহর লাগোয়া মণীন্দ্রনাথ হাই স্কুলে ওই বন্ধ পালন হয়। ফলে এ দিন স্কুলে কোনও ক্লাস হয়নি। স্কুল সূত্রে খবর, এলাকার অভিভাবক, প্রাক্তন ছাত্রদের একাংশ দলমত নির্বিশেষে বন্ধের ডাক দেন। কোচবিহারের ডিআই (হাই) মহাদেব শৈব্য বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ওই ঘটনায় এবিটিএ সদস্য প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা সেল ও পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সদস্য সহ শিক্ষকদের তরজাও প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। কোচবিহার মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন রায় বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে এবিটিএ করলেও তার সঙ্গে প্রশাসনিক কাজকে গুলিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। বৃহস্পতিবার আমার কয়েকজন সহকর্মী ‘স্টপ গ্যাপ’ ক্লাসে যেতে না চাওয়ায় এক শিক্ষকের সম্পর্কে লাল কালি দিয়ে নোট দিই। তা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে এসে কয়েকজন শিক্ষক আমার ঘরের টেবিলের কাচ ভেঙে দেন। নোট লেখা খাতা ছিঁড়ে ফেলেন। গোটা বিষয়টি নিয়েই কয়েক জনের নাম দিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছি।” ওই স্কুলের তৃণমূল শিক্ষা সেল ইউনিট কমিটির নেতা মানস ভট্টাচার্য বলেন, “টিফিনের সময় স্কুলে লিভ রেজিস্টার চালু, স্টাফ কাউন্সিলের বৈঠক করা সহ বিভিন্ন দাবি জানাতে যাই। তখন তর্কাতকি হয় মাত্র। পরে আমাদের ফাঁসাতে পুলিশে অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক।”

গুলি ব্যবসায়ীকে
ঘরের ভিতর থেকে ডেকে এনে ব্যবসায়ীকে গুলি করে পালাল মোটর সাইকেল আরোহী দুই দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদহের চাঁচল থানার আশাপুর বাজারে। জখম ব্যবসায়ী আনোয়ারুল হককে প্রথমে মালদহ জেলা হাসপাতালে এবং সেখান থেকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর বুকে গুলি লেগেছে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। চাঁচলের আইসি সাগর সাহা বলেন, “পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমন ঘটনা বলে আমাদেরও মনে হচ্ছে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় বাড়িতে শ্যালকের সঙ্গে বসে খাওয়া সারছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময়ে ওই দুই দুষ্কৃতী আনোয়ারুল হককে ‘কাজ আছে’ বলে বাইরে ডেকে আনে। দরজার কাছে ওই ব্যবসায়ী আসতেই বুকে গুলি করে মোটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায় ওই দু’জন। মাথায় হেলমেট পরা ছিল বলে বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে পরে পুলিশ জানতে পারে আশাপুর বাজারে মুদি দোকান ছাড়াও ওই ব্যবসায়ীর অন্য ব্যবসা রয়েছে। এক বছর বয়সে তাঁর মা মারা গেলে বাবা নূরজামান দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। বছর তিনেক আগে তিনিও মারা যান। সম্প্রতি ওই পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। ব্যবসায়ীর স্ত্রী জুয়েলা বিবির অভিযোগ, “আমার স্বামীর শত্রু ছিল না। সেই জন্যই শাশুড়িকে সন্দেহ হচ্ছে।” অভিযুক্ত রৌশনা বেওয়া বলেন, “এক বছর থেকে আনোয়ারুলকে মানুষ করছি। দুই ছেলেকে সমান চোখে দেখি।”

প্রতিবেশীর গোলমালে গলা টিপে খুন শিশুকে
খেলার সময়ে প্রতিবেশী দুই বালকের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালীন সাড়ে পাঁচ বছরের বালকটি ১০ বছর বয়সী বালকের কানে চড় মারে বলে অভিযোগ। চড়ের আঘাতে ১০ বছরের বালকের কান দিয়ে রক্ত বার হয়। থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ ব্যবস্থা না-নেওয়ায় পাঁচ বছরের বালকটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগে মানিকচক থানার সোনারপুর গ্রাম উত্তাল। বৃহস্পতিবার রাতে মানিকচক থানা পুলিশ হাড্ডাটোলা প্রাথমিক স্কুলের বাথরুমের পাশ থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃত শিশুর নাম মিঠুন মন্ডল (৫)। মৃত শিশুর বাবা ফেকন মন্ডল মা আরতি মন্ডল দিনমজুর। ওই ঘটনায় পুলিশ ১০ বছরের বালকের বাবা কেকো মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলাণ মুখোপাধায় বলেন, “ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে সাড়ে ৫ বছরের বালকটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।” মানিকচকের সোনারপুর গ্রামে ফেকন মন্ডল ও কেকো মন্ডল প্রতিবেশী। মিঠুন, কেকোর বড় ছেলে ভোলার সঙ্গে হাড্ডাটোলা প্রাথমিক স্কুলে খেলতে যায়। বৃহস্পতিরার বিকেলে স্কুল মাঠে খেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি মিঠুন। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে না-আসায় অনেক খোঁজাখুজি হয়। পরে স্কুলের বাথরুমের পাশে গ্রামবাসীরা মিঠুনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মৃত বালকের বাবা বলেন, “আমাকে না পেয়ে কেকো আমার ছেলেকে খুন করেছে। কালকে বিকেলে কেকোর ছেলে ভোলা আমার ছেলেকে স্কুলের মাঠে খেলতে নিয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় স্কুলের ভিতরে ছেলের নিথর দেহ দেখতে পাই।”

আন্দোলন চলছেই
পঞ্চম দিনেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনশনের সিদ্ধান্তে অটল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস্ অ্যাসোসিয়েশন (জিসিপিএ)। শুক্রবার সংগঠনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি পূরণে লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তারা। কোচবিহারের জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “বৃহস্পতিবার আন্দোলন প্রত্যাহারে আলোচনার পরেও জিসিপিএ’র তরফে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।” কোচবিহারকে ‘গ’ শ্রেণির রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া, তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা গঠনের দাবিতে সোমবার থেকে বিপুল জমায়েত করে অনশনে বসেছেন জিসিপিএ সমর্থকরা। রাসমেলা ময়দান লাগোয়া শহরের নানা ব্যস্ততম রাস্তায় অনশন চালানোর পর বুধবার রাত থেকে অনশনকারীরা কোচবিহার রাজবাড়ি লাগোয়া চত্বরে তাঁবু গেড়ে বসেছেন। শুক্রবারেও সেখানেই আন্দোলন চালিয়ে যান অসংখ্যা জিসিপিএ কর্মী-সমর্থকরা। সংগঠনের সম্পাদক নমিতা বর্মন বলেন, “প্রশাসনকে আমাদের দাবির কথা দিল্লিতে জানানোর ব্যাপারে বলেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে কোনও আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।”

বন্ধ ১০ দিনে পড়ল
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝুলছেই। ফুলহার বাঁধের রাস্তা পাকা করার দাবিতে জনজাগরণ নাগরিক মঞ্চের ডাকা ওই বন্ধ শুক্রবার ১০ দিনে পড়ল। আপাতত পাকা রাস্তা না হলেও সোমবার থেকে প্রশাসন ওই রাস্তা আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় এ দিন সন্ধ্যায় জরুরি সভা ডাকা হয়েছে বলে কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত শনিবার থেকে বন্ধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে। দৌলতনগর, ভালুকা, ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষাধিক মানুষের ‘জীবন রেখা’ বলা হয় ফুলহার বাঁধের রাস্তাকে। ৩০ কিমি. ওই রাস্তা এতটাই বেহাল যে গত বছর জুলাইয়ে টানা এক সপ্তাহ বন্ধ পালন করেন বাসিন্দারা। ওই সময় আশ্বাসের পরেও কাজ না হওয়ায় এবার ফের গত ১৩ জুলাই থেকে এলাকায় বন্ধ শুরু হয়। গত বুধবার থেকে স্কুল, ব্যাঙ্ককে ছাড় দেওয়া হলেও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি না খোলায় পঞ্চায়েতের কাজকর্ম কার্যত শিকেয় উঠে গিয়েছে। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) তরুণ সিংহরায় এ দিন বলেন, “সোমবার থেকে রাস্তা আপাতত আমূল সংস্কারের পাশাপাশি পিচ রাস্তা করার চেষ্টাও চালানো হবে। সেজন্য উদ্যেগও নেওয়া হয়েছে। সেজন্য সময় তো দিতে হবে।”

সাজা
প্রতিবেশীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক বৃদ্ধকে এক বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিল বিচারক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাস্তিপ্রাপ্ত বৃদ্ধের নাম জগদীশ দাস।

ক্ষোভ
অনুপস্থিতির অভিযোগে গ্রন্থাগারিককে দফতরে তালাবন্দি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গোফানগর এলাকায়। গোফানগর পল্লিপাঠাগার গ্রন্থাগারের বিরুদ্ধে বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত লাইব্রেরি খোলা হয় না।
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.