|
|
|
|
কঠোর ডানলপ নিয়েও |
উইমকোর জমিতে কারখানাই, স্পষ্ট জানালেন শ্রমমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ধুঁকতে থাকা দক্ষিণেশ্বরের উইমকো কারখানার জায়গায় আইটিসি কর্তৃপক্ষ আধুনিক কোনও দেশলাই কারখানা বা অন্য কোনও কারখানা করতে চাইলে রাজ্য তা খতিয়ে দেখবে। আজ মহাকরণে এ কথা জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
শুক্রবার মহাকরণে শ্রমমন্ত্রী জানান, আইটিসি কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে দেখা করে উইমকো কারখানার ব্যাপক লোকসানের কথা জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সারবত্তা রয়েছে বলে তাঁর মনে হয়েছে। তামিলনাড়ুর শিবকাশীর কারখানাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না-পারলে সেখানে আধুনিক দেশলাই কারখানা বা অন্য কোনও শিল্প করা যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। তবে, সে-জন্য রাজ্য সরকারের শর্ত তিনটি। এক, অবসরের বয়স হয়েছে, এমন শ্রমিকদের সব পাওনাগণ্ডা মেটাতে হবে। দুই, কোনও শ্রমিক আগাম স্বেচ্ছা অবসর নিতে চাইলে তাঁর প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে হবে এবং তিন, কারখানার জমিতে কোনও ‘প্রোমোটিং’ চলবে না। হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানার ব্যাপারে শ্রমমন্ত্রী আজ জানান, উৎপাদন শুরুর ব্যাপারে ওই সংস্থার মালিক পবন রুইয়া ছাড়া কর্তৃপক্ষের তরফে আর কারও সঙ্গে তিনি কথা বলবেন না। সংস্থার কর্তৃপক্ষের তরফে কয়েক জন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে তাঁর বক্তব্য শুনে জানিয়ে দেন, রুইয়া এখন বিদেশে আছেন। দেশে ফিরে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। মন্ত্রীর মতে, ডানলপ কারখানা ‘অন্যায় ভাবে’ বন্ধ রাখা হয়েছে। পূর্ণেন্দুবাবু জানান, কারখানা বন্ধ হওয়ার পরেও বছরের পর বছর সেই জমি আগলে রাখার প্রবণতা কী ভাবে রোখা যায়, তা নিয়ে রাজ্য চিন্তাভাবনা করছে। কোন কোন বন্ধ কারখানা এই অবস্থায় রয়েছে, তা দেখছে রাজ্যের শিল্প পুনরুজ্জীবন দফতর। জমি অধিগ্রহণ আইনে কারখানার অব্যবহৃত জমি ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের হাতে রয়েছে। বাটা ও হিন্দুস্তান মোটর্সের ক্ষেত্রে পূর্বতন সরকার সে ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল মালিকদের সুবিধা দিতে। নতুন সরকারের আমলে তা করা হলে শ্রমিকদের স্বার্থেই করা হবে। একটি কারখানা কত বছর এক টানা বন্ধ থাকলে রাজ্য জমি ফেরানোর কথা ভাববে, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত রাজ্য বিধিতে তা নির্দিষ্ট করা হবে। তবে, মালিকপক্ষ সেই জমিতে অন্য কারখানা করে চালাতে চাইলে সে সুযোগ পাবেন। কেন্দ্র জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত নতুন যে আইন তৈরির পথে এগোচ্ছে, সে দিকেও লক্ষ্য রাখছে রাজ্য। |
|
|
|
|
|