আদালতে রাজ্য সরকারের কোন দফতরের কোন মামলা কী অবস্থায় আছে, তা দেখতে সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। গুরুত্ব দেওয়া হবে সমন্বয়ের উপরে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের আইন ও বিচারমন্ত্রী মলয় ঘটক শুক্রবার মহাকরণে বৈঠকে বসেন। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র এবং বিভিন্ন বিভাগের সচিব-অফিসারেরাও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়, রাজ্য সরকারের বকেয়া মামলার ঠিক সংখ্যা জানতে দফতর-ভিত্তিক তালিকা তৈরি করা হবে। প্রতিটি দফতরে থাকবেন এক জন ‘নোডাল অফিসার’। অনিন্দ্যবাবু বলেন, “বকেয়া সরকারি মামলার সংখ্যা সওয়া এক লক্ষ হতে পারে আবার দেড় লক্ষও হতে পারে। দৈনিক প্রায় পৌনে তিনশো মামলা জমে যাচ্ছে।” তিনি জানান, এর অন্যতম প্রধান কারণ আদালতে সরকারের হয়ে মামলা লড়ার মতো আইনজীবীর অভাব। সরকারি কৌঁসুলিদের ‘ফি’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা ঠিক যে, সরকারের বদলে বেসরকারি কৌঁসুলি হলে তাঁরা আরও বেশি আয় করতেন। কিন্তু সরকারি আইনজীবীরা কেউই অর্থের লোভে সরকারি মামলা লড়েন না।” অনেক কৌঁসুলি দীর্ঘদিন সরকারের থেকে প্রাপ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। |
জেলবন্দি যে সব কেএলও জঙ্গিকে রাজ্য সরকার মুক্তি দিচ্ছে, তারা লিখিত ভাবে অস্ত্র ত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কি না, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বিভিন্ন জেলে ৫২ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সূর্যবাবু শুক্রবার বলেন, “সশস্ত্র আন্দোলন করে যারা পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠন করতে চায়, তার কি লিখিত ভাবে সরকারকে বলছে যে, তারা অস্ত্র ত্যাগ করবে? যদি তা করে, তা হলে তাদের মুক্তি স্বাগত। কিন্তু লিখিত ভাবে যদি কিছু না-বলে, তা হলে তাদের মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন থাকে।” তিনি বলেন, “কেএলও রাজনৈতিক দল নয়। তাদের যে কর্মী জেলে আছে, তারাও কেউ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে জেলে যায়নি। বরং আলফা জঙ্গিদের কাছে, এমনকী বিদেশেও অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছে।” |
রাজ্যের নামবদলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৩ অগস্ট সর্বদল বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকার। নামবদলে ‘নীতিগত আপত্তি’ নেই বলে জানিয়ে বৈঠকে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল সিপিএম। ‘পশ্চিমবঙ্গ’ থেকে পশ্চিম শব্দটি বাদ দিয়ে রাজ্যের নতুন নামকরণ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে রাজ্যগুলির বর্ণানুক্রমিক তালিকায় এ রাজ্য আরও উপরের দিকে উঠে আসতে পারে। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র শুক্রবার জানিয়েছেন, নামবদলে তাঁদের ‘নীতিগত আপত্তি’ নেই। |