|
|
|
|
মমতার কাছে আর্জি বোনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুর দুয়ার ও কোচবিহার |
কেএলও প্রধান জীবন সিংহকে মূলস্রোতে ফেরাতে রাজ্য উদ্যোগী হবে বলে আশা তাঁর বোন সুমিত্রা দাসের। রাজ্য সরকার রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ায় সুমিত্রা দেবী তাঁর দাদার সঙ্গে যোগাযোগ করে এই ব্যাপারে অনুরোধ জানাতে চান। সুমিত্রা দেবীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, জীবন সিংহ আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তাঁরাও উদ্যোগী হবেন। এ দিন কোচবিহারে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জীবন সিংহ বাংলাদেশে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র অবশ্য জানান, এই ধরনের কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই। পুলিশ সুপার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জীবন সিংহের আত্মসমর্পণের ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য নেই। জীবন সিংহ আত্মসমর্পণ করতে চাইলে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিনই আলিপুরদুয়ার জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান কেএলও নেতা মিল্টন বর্মন ওরফে মিহির দাস, তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব যাতে জীবন সিংহকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়।” পৃথক রাজ্যের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই নেতা। তিনি বলেন, “তবে এ বার আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আন্দোলন করতে চাই। কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংহের বোন সুমিত্রা দেবী ২০০৯ সালে অগস্টে অসম হয়ে কুমারগ্রাম আসার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। স্বামী ধনঞ্জয় দাস পুলিশের গুলিতে জখম হন। সুমিত্রা দেবী বলেন, “শুনছি সরকার রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির জন্য উদ্যোগী। আমার স্বামী ধনঞ্জয় বর্মনের নাম সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে পাঠিয়েছেন। আমরা যারা জামিনে মুক্ত রয়েছি তারাও প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব যাতে আমাদের বিরুদ্ধে আনা মামলা প্রত্যাহার করা হয়। স্বামী-ছেলেকে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই। দাদা জীবন সিংহকে আত্মসমপর্ণ করে মুলস্রোতে ফিরে আসার অনুরোধ জানাব।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়ায় আলিপুরদুয়ার বিশেষ সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ৯ জন কেএলও বন্দির নাম মহাকারণে পাঠিয়েছেন। জামিনে মুক্ত থাকা কেএলও জঙ্গিরাও তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার বিশেষ সংশোধনাগার সুত্রে জানা গিয়েছে, নানা সময়ে আসা কেএলও জঙ্গি মিল্টন বর্মন ওরফে মিহির দাস, দেবানন্দ দাস, দীপক অধিকারী, নলেশ্বর অধিকারী,পরিমল বর্মন, গজেন সিংহ কোঙার, প্রভাত দাস, ধনঞ্জয় বমর্ন ও ভুপেশ দাস রাজনেতিক বন্দির মর্যাদা পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে পদক্ষেপ করায় এই বন্দিদের নাম বৃহস্পতিবার মহাকরণে পাঠানো হয়েছে। এ দের মধ্যে ভুপেশ দাসকে বৃ্হস্পতিবার জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|