|
|
|
|
দোকানঘর বিলির সিদ্ধান্ত নিল পুরুলিয়া প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
নির্মাণের পরে কমবেশি পনেরো বছর তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে পুরুলিয়া শহরের বাসস্ট্যান্ডের একাধিক দোকানঘর। মাঝের এই সময়কালে একাধিকবার ওই দোকানঘরগুলি বিলির দাবি উঠলেও প্রশাসন তাকে কান দেয়নি। এর ফলে রাস্তার পাশে দিনের পর দিন গজিয়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ। বাসস্ট্যান্ড দখলদারদের হাতে চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। এই অবস্থায় দোকানঘরগুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। |
|
বিলি করা হবে এই ঘরগুলি। ছবি: প্রদীপ মাহাতো। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নব্বই দশকের মাঝামাঝি বাসস্ট্যান্ড দখলদারদের থেকে মুক্ত করতে অভিযান চালিয়েছিল প্রশাসন। অবৈধ নির্মাণ ভেঙে বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম দিকে দোকানঘর নির্মাণ করে প্রশাসন। একতলায় ১৪টি ও দ্বিতলে ১৪টি মোট ২৮টি দোকানঘর নির্মাণ করে প্রশাসন। দোকানদাররা জানাচ্ছেন, তার পর থেকে ঘরগুলি তালা খোলেনি। বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে পনেরো-ষোলো বছর। বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় খাবারের দোকান চালান বাবলু শর্মা। তাঁর কথায়, “আমাদেরও দোকান ছিল ওখানে। যখন ভাঙা হয়েছিল, প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, নির্মাণের পরে আমাদের ঘর দেওয়া হবে। তার পরে কতবার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কিছুই হয়নি।” একই বক্তব্য আরও এক দোকানদার সুবোধ গঁরাইয়ের। তাঁর কথায়, “আমরা কোনও রকমে টিকে রয়েছি।” দোকানঘরগুলির সামনে তৈরি হয়েছিল বাস দাঁড়ানোর জায়গা। কিন্তু ওই জায়গা দখল করে থাকে কিছু অচলগাড়ি। কোথাও গড়ে উঠেছে গ্যারাজ। আর যাত্রীপ্রতীক্ষালয়ে বসেছেন হকাররা। কাশীনাথ নন্দী নামে এক যাত্রীর কথায়, “উপায় নেই। রোদ বৃষ্টির মধ্যে বাস ধরতে হয়।” পুরুলিয়া জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর দোকানঘরগুলি পড়ে রয়েছে। আমরা ঠিক করেছি শীঘ্রই বিলি করে দেব। যাঁদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল তাঁদের তালিকা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। অর্ধেক স্টল লটারির মাধ্যমে তাঁদের বিলি করা হবে। বাকি নিলাম করা হবে।” কাল রবিবার দোকানঘরগুলি নিলাম করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|