|
|
|
|
সাত্তারকে গালিগালাজ, প্রহৃত চালক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আমডাঙায় সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গণ্ডগোলের রেশ রইল পরদিনও। শুক্রবার আমডাঙা থানা থেকে স্মারকলিপি দিয়ে ফিরছিলেন প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী আব্দুস সাত্তার। অভিযোগ, গাড়িতে ওঠার সময়ে পুলিশের সামনেই তৃণমূল সমর্থকেরা তাঁর গাড়ি আটকে গালাগাল করে। তাঁর চালককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “চালককে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে এক জনকে।”
বৃহস্পতিবার ব্রিগেডের সভায় যাওয়ার পথে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতি বাধে কিছু সিপিএম সমর্থকের। পরে তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে আমডাঙার বহিসগাছা গ্রামে। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি, বোমাবাজিও হয়। কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চলে। দু’পক্ষের জখম আট জনের মধ্যে ৫ জনকে ভর্তি করা হয় বারাসত হাসপাতালে। এক জন গ্রেফতারও হন।
শুক্রবার আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুস সাত্তার ও প্রাক্তন সাংসদ অমিতাভ নন্দী। এ দিন অমিতাভবাবু বলেন, “ওখানে আমাদের কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যালয় দখল করে নিয়েছে। এলাকায় গিয়ে সে সব ঘুরে দেখার পরে আমরা আমডাঙা থানায় যাই। পুলিশকে জানাই, সর্বদলীয় সভা ডাকুন। থানা থেকে বের হতেই তৃণমূল সমর্থকেরা আমাদের ঘিরে ধরে। বলে, তৃণমূল ছাড়া কেউ থানায় যেতে পারবে না।” আব্দুস সাত্তার বলেন, “থানা থেকে বের হয়ে সবে গাড়িতে বসেছি। ওঁরা এসে আমার চালক মহম্মদ মুনাফকে মারধর করে। জামা ছিঁড়ে দেয়। অকথ্য ভাষায় আমাকে গালাগাল করতে থাকে।” তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, “সিপিএমের লোকরাই বৃহস্পতিবার আমাদের কর্মীদের মারধর করে। এ দিন ওই দুই নেতা আবার ওখানে গিয়ে সমস্যা বাধিয়েছে। ওঁদের কেউ বাধা দেয়নি, বাজে কথাও বলেনি।” |
|
|
|
|
|