|
|
|
|
প্রধান নির্বাচনে জটিলতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • স্বরূপনগর |
প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জটিলতা দেখা দিল বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর-বাংলানি পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত সদস্যেরা দু’টি পক্ষ হয়ে যান। তা থেকে গোলমাল বাধে। বিডিও অরুণাভ পাল ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত এসডিপিও (বসিরহাট) আনন্দ সরকার এবং মহকুমাশাসক অনামিকা মজুমদারের প্রতিনিধি হিসাবে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট গেলে ঘেরাওমুক্ত হন বিডিও।
মহকুমাশাসক বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। নানা অভিযোগও উঠেছে। পুরো ঘটনার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচন বাতিল করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।” ওই পঞ্চায়েতের মোট আসন ২০। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের দখলে আসে ৯টি আসন, সিপিএমের ৭টি, তৃণমূলের ২টি এবং বিজেপি ও নির্দলের ১টি করে। তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে প্রধান হন কংগ্রেসের অনুপ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি অনাস্থা আনা হলে প্রধান অপসারিত হন।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছিল প্রধান পদে নির্বাচন। দলীয় নিয়ম-নীতি না মেনে সদস্যেরা দু’টি পক্ষ হয়ে যান। এক পক্ষ প্রধান পদে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে নির্দল সদস্য সুধীর মণ্ডলকে। অন্য পক্ষ কংগ্রেসের আবেদ আলি গাজিকে। ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুধীরবাবুদের তরফে পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ তোলা হয়। এ নিয়ে বচসা বাধে আবেদ আলিদের সঙ্গে। বিডিও-র প্রতিনিধিকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় দু’পক্ষই। গোলমালের খবর পেয়ে বিডিও পঞ্চায়েতে আসেন। অভিযোগ, বিডিও ভোটের কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বিডিওকে ঘেরাও করা হয়। এর পরেই এসডিপিও এবং ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আসেন। দফায় দফায় তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। ভোটের কাগজ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিডিও।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি রমেন সর্দারের দাবি, “আমাদের জোট প্রার্থী আবেদ আলি গাজি ১০-০ ভোটে জিতে যান। তা সহ্য করতে না পেরেই বিরোধীরা বিডিওকে ঘেরাও করে নির্বাচন বাতিলের পরিকল্পনা করে। নির্বাচন বাতিল করা হলে আমরা তা মানব না।” ব্লক কংগ্রেস নেতা মুজিবর রহমান বলেন, “জয়-পরাজয় ঘোষণার আগেই বিডিও ৪টি ভোটের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন।” সিপিএম নেতা হামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিয়মমাফিক ভোট হচ্ছিল না। ওই পক্ষের এক জন একাই চার জনের ভোট দিয়েছেন। যা অগণতান্ত্রিক। এ জন্যই আমরা প্রতিবাদ করি।” |
|
|
|
|
|