|
|
|
|
| |
| পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পদে জয়ী তৃণমূল |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাম সদস্যদের সমর্থন নিয়ে সহ-সভাপতি পদে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে। বামেদের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। হুমকি দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগে সভাপতি, সহ সভাপতি অনেক দিন ধরে আসছিলেন না। সম্প্রতি সহ সভাপতি পদত্যাগ করেন।
এই পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট সদস্য সংখ্যা ২০। তার মধ্যে বামেদের ১২ ও তৃণমূলের ৮ জন সদস্য। বামেদের দখলে থাকা এই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের প্রসাদরঞ্জন বিশ্বাস। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল জেতার পরে শাসনের সর্দারহাটির বাসিন্দা প্রসাদরঞ্জনবাবুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এর ফলে প্রায় আড়াই বছর ধরে ওই পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম এক রকম বন্ধই ছিল। একই কারণে সমিতিতে যাওয়া বন্ধ করে দেন সহ সভাপতি শাহানাজ বেগমও। তাঁকেও নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগে গত ২৪ জুন শাহানাজ বেগম সহ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, দুই দায়িত্ব থেকেই পদত্যাগ করেন।
সহ সভাপতি পদত্যাগ করার পরে বিডিও-র নির্দেশে শুক্রবার সহ সভাপতি নির্বাচনের দিন ঠিক হয়। উত্তেজনার আশঙ্কা থাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ। মোট ১৫ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এ দিন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ৮ জন তৃণমূলের এবং সিপিএমের ৭ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রসাদরঞ্জনবাবু-সহ ৪ জন সিপিএম সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। নতুন সহকারি সভাপতি হিসেবে ইছা হক মোল্লার নাম তৃণমূলের তরফে ঘোষণা করা হয়। অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। সকলেই তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করেন। ১৫-০ ভোটে ইছা হক মোল্লা সহ সভাপতি নির্বাচিত হন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এর ক’দিন আগে ওই পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ দাদপুরে পঞ্চায়েতেও ঠিক একই রকম ভাবে প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ ব্যপারে প্রাক্তন সাংসদ ও জেলার সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দী বলেন, “তৃণমূল যে ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তাতে অনেকে বাড়ি ছাড়া। এই সদস্যদেরও হুমকি দেওয়া হয়, সমর্থন না করলে বাড়িতে থাকতে পারবেন না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা নিজেদের বাঁচাতে এটা করেছেন। এ ভাবেই তৃণমূল দাদপুর পঞ্চায়েতও দখল নিয়েছে। সর্বত্রই এ সব করছে ওরা।”
তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, “প্রায় আড়াই বছর সভাপতি, সহ সভাপতি আসেন না। কাজটা তো করতে হবে। প্রশাসনের নির্দেশেই তাই এ দিন সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সে জন্য সিপিএমের সমর্থনের প্রশ্ন ওঠে না।” |
|
|
 |
|
|
