|
|
|
|
স্কুলে বহিরাগত হামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
বহিরাগতদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়া নিয়ে গণ্ডগোল এ বার ছড়িয়ে পড়ল স্কুলেও। ছাত্রদের মধ্যে গণ্ডগোলে গ্রামবাসীদের একাংশও জড়িয়ে পড়ার পরে শুক্রবার কৃষ্ণগঞ্জ থানার চন্দননগর আর ডি পি ইন্সটিটিউটের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, গ্রামবাসীদের যাঁরা স্কুলে ঢুকে গণ্ডগোল করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই প্রতিশ্রুতি দিলে বেলা বারোটা নাগাদ স্কুলের তালা খুলে দেওয়া হয়। শুরু হয় পঠনপাঠন।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র দীপঙ্কর মণ্ডল বলে, “বৃহস্পতিবার একাদশ শ্রেণির দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারি হয়। তার পরে স্কুলের আশপাশের কয়েকজন বাসিন্দা স্কুলে ঢুকে এক ছাত্রকে মারধর করেন।” দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সুজয় বিশ্বাসের বক্তব্য, “সেই সময়ে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক মারামারি থামাতে গেলে তাঁদেরও নিগৃহীত হতে হয় ওই গ্রামবাসীদের হাতে।” দীপঙ্করের বক্তব্য, “আমাদের চোখের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই যে গ্রামবাসীরা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই গ্রামবাসীদের মধ্যে কয়েকজন অভিভাবকও ছিলেন।” পুলিশও জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের কেউ কেউ স্কুলে ঢুকে গণ্ডগোল করায় উত্তেজনা বাড়ে। বৃহস্পতিবার সমস্যা কিছুটা মিটলেও ছাত্রেরা এই দিন স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রধানশিক্ষক সমীর দাঁ বলেন, “একাদশ শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে সামান্য গণ্ডগোল হয়েছিল। কিন্তু তার জেরে যে ভাবে গ্রামবাসীদের একাংশ স্কুলে ঢুকে পড়েছিলেন, তা খুবই নিন্দ্যনীয়। আমরা পরিচালন কমিটির বৈঠক করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।” পরিচালন সমিতির সম্পাদক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যে সব গ্রামবাসী ও অভিভাবক এই ঘটনায় যুক্ত, তাঁদের কোনও ভাবেই ক্ষমা করা হবে না।” |
|
|
|
|
|