|
|
|
|
ভর্তি নিয়ে বিক্ষোভে বন্ধ কলেজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • করিমপুর |
প্রথম বর্ষের পাশ কোর্সের সব ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নিতে হবে এই দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিল ছাত্র পরিষদ। ওই ধর্মঘটের কারণে কলেজে ঢুকতে পারেননি শিক্ষকেরা। তারপরে শুক্রবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করিমপুর পান্নাদেবী কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলেজে পাস কোর্সে কাউন্সেলিং ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সরকারি নিয়ম মেনে দশ শতাংশ আসন বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার ১৩২২ জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এর বেশি ভর্তি করার পরিকাঠামো কলেজের নেই। এ দিকে ছাত্র পরিষদের দাবি, আরও প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি করাতে হবে। সেই দিন রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। ঘেরাও করে রাখা হয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হককে।
এরপরে শুক্রবার সকাল থেকে কলেজের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে পোস্টার টাঙিয়ে ধর্নায় বসে যান ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা। সেই জন্য কলেজে গিয়েও দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের জন্য ঢুকতে পারেননি অনার্সের ছাত্রছাত্রীরা। ঢুকতে পারেননি শিক্ষক-শিক্ষিকা, অধ্যক্ষও। কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরিষদের দিব্যেন্দু মণ্ডল বলেন, “১৩২২ জনের বেশি যখন ভর্তি করতে পারবে না, তখন কেন তার থেকে বেশি ফর্ম বিক্রি করা হল?” ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, “ওঁরা একেবারেই অন্যায্য দাবি করছেন। যত আসন, তত জনকেই ফর্ম দিলে আর কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন কী?”
অবশ্য দিব্যেন্দুবাবুর দাবি, “সীমান্তবর্তী এলাকায় শিক্ষার সুযোগ কম। ছেলেমেয়েরা কোথায় ভর্তি হবে? ওদের তো পড়াশোনাই ছেড়ে দিতে হবে।” আব্দুল হক বলেন, “প্রশাসনকে সব কথা জানিয়েছি। কোনও সাহায্য পাইনি। তাই কলেজই বন্ধ করে দিয়েছি।” তবে এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তেহট্টের মহকুমাশাসক অচিন্ত্যকুমার মণ্ডল বলেন, “ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাঁর কলেজের ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে কিছুই জানাননি। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|