|
|
|
|
ফুলবাজার পরিদর্শনে প্রতিনিধিদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দীর্ঘ দিন ধরেই কোলাঘাট রেলস্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশে ফুলবাজার চলছে খোলা আকাশের নীচে। শুক্রবার জল, কাদা, আবর্জনায় ভরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ত ফুল-বাজারটির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখল জেলা পরিষদ ও উদ্যান পালন দফতরের প্রতিনিধি দল। পরে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারি ফুলবাজারটিও ঘুরে দেখে তারা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমল নন্দী, উদ্যান পালন দফতরের জেলা আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু ঘোড়ই, বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী প্রমুখ।
কোলাঘাট স্টেশন সংলগ্ন ফুলবাজারের বয়স ৩০ বছরেরও বেশি। ফুল ব্যবসায়ী ও চাষিদের উদ্যোগেই মূলত স্টেশন সংলগ্ন রেলের জায়গায় ওই বাজার চালু হয়েছিল। খোলা আকাশের নীচে প্রতি দিন সকালে বাজার বসে। দুই মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী, দাসপুর ও ডেবরা ছাড়াও হাওড়া জেলার বাগনান এলাকার ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা আসেন এই বাজারে। বিভিন্ন ধরনের ফুল নিয়ে তিন হাজারেরও বেশি চাষি আসেন প্রতি দিন। কয়েকশো ফুল ব্যবসায়ী ওই ফুল নিয়ে ট্রেনে চেপে মল্লিক ঘাট ফুলবাজারে যান। কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ বাজারে ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই। রেল কর্তৃপক্ষ বাজারে আসা চাষিদের কাছ থেকে প্রতি দিন কুপন কেটে ৫ টাকা করে নিলেও পরিষেবা উন্নয়নে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
এ দিন ফুলবাজার পরিদর্শনে যাওয়া প্রতিনিধিদের কাছে চাষি ও ব্যবসায়ীরা ছাউনি, আলো ও পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত করার দাবি জানান। যদিও প্রতিনিধি দলকে রেল দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, বাজার চত্বরের তলা দিয়ে তেলের পাইপলাইন গিয়েছে। ফলে এখানে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণে অসুবিধা রয়েছে। তাই স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন রেলের জমিতে বিকল্প বাজার গড়ে তোলার প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে রেল। প্রস্তাবিত ওই জায়গাও এ দিন পরিদর্শন করে প্রতিনিধি দল। স্থানীয় বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “নতুন জায়গায় উন্নত মানের বাজার গড়ে তুললে ফুলচাষিদের সুবিধা হবে। তাই আমি রেলের ওই প্রস্তাবে সায় দিয়েছি।” রেলের প্রস্তাব নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমলবাবুও। কোলাঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির সম্পাদক দিলীপ প্রামাণিক বলেন, “বাজার স্থানান্তর হলে আমাদেরও কোনও আপত্তি নেই। তবে, স্থায়ী বাজারের পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছি আমরা।”
মেচগ্রামে সরকারি ফুলবাজার চালু হয়েছিল ২০০৬ সালে। শুরুর দিকে কয়েকমাস জমজমাট থাকলেও ক্রমশই ঝিমিয়ে পড়ে বাজারটি। এ দিনই মেচগ্রামে সরকারি ফুলবাজার পরিদর্শনে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কিন্তু বাজার চত্বরে কোনও কর্মীর দেখা মেলেনি। প্রবেশপথের দরজাতেও তালা লাগানো ছিল। এরপর দেউলিয়ায় বেসরকারি ভাবে গড়ে ওঠা ফুল বাজারে যান প্রতিনিধিরা। সেখানে আড়তদারদের বিরুদ্ধে অত্যধিক হারে ‘কমিশন’ নেওয়ার অভিযোগ জানান ফুলচাষিরা। সমস্যা মেটানোর জন্য আড়তদারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আশ্বাস দিয়েছেন বিপ্নববাবু।
|
|
|
|
|
|