|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা: পাইকপাড়া, ব্যারাকপুর
দুরূহ যাতায়াত |
সমাধান কবে |
বিতান ভট্টাচার্য |
রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত। আর এই গর্তের ফাঁদে পড়েই নিত্য দিন ঘটছে দুর্ঘটনা। উদ্বিগ্ন পুলিশ-প্রশাসন, স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট উদাসীন।
সোদপুর থেকে মধ্যমগ্রাম যাওয়ার এই রাস্তাটির পোশাকি নাম বারাসত রোড। তবে সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড নামেও রাস্তাটি পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোদপুর থেকে ঘোলা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পথে বারোটিরও বেশি গর্তে পড়ে প্রতি দিন সাইকেল বা মোটরসাইকেল আরোহীরা জখম হন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার উপর ছড়িয়ে থাকা পাথর, বা সাময়িক ভাবে গর্ত ভরাটের জন্য রাস্তার ধারে রাখা খোয়া অনেক সময়েই গাড়ির চাকায় লেগে ছিট্কে পথচারীদের গায়ে লাগে। এভাবে দোকানের জিনিসপত্রেরও ক্ষতি হয় বলে জানান স্থানীয় দোকানদারেরা। |
|
পানিহাটি কলেজের উল্টোদিকে বাসনপত্রের দোকান স্থানীয় বাসিন্দা স্বপনকুমার দের। তিনি বলেন, “গত ১৪ মাস ধরে এই রাস্তার এমন বেহাল দশা। প্রায় প্রতি দিনই এই গর্তগুলোতে ভারি গাড়ির চাকা পড়ে যন্ত্রাংশ ভাঙে। রাস্তার মাঝখানে গাড়ি বিকল হয়। তীব্র যানজট হয় এর ফলে। বার বার প্রশাসন, পুরসভাকে জানিয়ে আমরা নাজেহাল। কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের দোকান ফেলে ছুটতে হয়।”
স্বপনবাবুর মতো অভিযোগ এই পথের অটো চালক তপন দাসেরও। তপনবাবু বলেন, “কোথাও কোথাও জোড়াতালি দিয়ে ইটের টুকরো আর জঞ্জাল ফেলেও গর্ত ভরাট করা হয়েছে। একটু বৃষ্টিতেই পানিহাটি ডুবে যায়। তার উপর রাস্তায় এই গর্তগুলো গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো। যাত্রী নিয়ে তিন চাকার গাড়ি চালাই। দুর্ঘটনার ভয় সবসময় থাকে। কিন্তু রাস্তা সারাবে যারা তাদের মাথা ব্যথা নেই।” |
|
একটি রাজ্য সড়ক, একটি এক্সপ্রেসওয়ে ও একটি জাতীয় সড়কের সংযোগকারী এই রাস্তায় প্রতি দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অসংখ্য গাড়ি চলে। ব্যারাকপুরে ১৫ নম্বর রেলগেটে উড়ালপুল তৈরির কাজের জন্য রাস্তা বন্ধ থাকায় মালবোঝাই ভারি গাড়িগুলোও বি টি রোড ধরে সোদপুর পর্যন্ত এসে এই পথ ধরে। কিন্তু দুই লেনের এই পথে কোনও
ডিভাইডার না থাকায় এবং মাঝেই মাঝেই মরণ ফাঁদের মতো গর্ত থাকায় গাড়ির চালকেরা নিয়ন্ত্রণ হারান।
এই রাস্তার দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের উত্তর কলকাতা ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার ২ স্নেহাশিস সাহা বলেন, “গর্তগুলো দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে। রাস্তার সংস্কারের জন্য সব মালপত্র এসে গিয়েছে। কাজ শুরু হওয়ার মুখে।” |
|
|
|
|
|