উত্তর কলকাতা
শুভ উদ্যোগ
গণবিবাহ
নীরেন-নন্দিনী, মাধব-অনিতা, পিন্টু-সুপ্রিয়া কিংবা অভিজিৎ-কমলা এঁরা সকলেই সমাজের একেবারে প্রান্তিক মানুষ। আত্মীয়-পরিজনদের ডেকে ঘটা করে বিয়ে করার সাধ্য তাঁদের নেই। তবুও তাঁদের জীবনের এই শুভ মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে রইল।
প্রতি বারের মতো এ বছরেও বিধায়ক পরেশ পালের উদ্যোগে কাঁকুড়গাছির সুভাষ মেলা কমিটি সঙ্গতিহীন ছেলেমেয়েদের বিয়ের আয়োজন করেছিল। সম্প্রতি এ ভাবেই আট জন পাত্রপাত্রীর ‘গণবিবাহ’ হল।
হোক না গণবিবাহ। তাতে কী? মেয়ের বেনারসি, চার গাছা সোনার চুরি, কানের দুল, গলার হার আয়োজনে ত্রুটি ছিল না কোথাও। সাধারণ ভাবে পাত্রীর বাবা পাত্র ঠিক করে মেলা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রয়োজনে সাহায্য করা হয়ে থাকে পাত্রপক্ষকেও। যে চার জোড়া ছেলেমেয়ের বিয়ে হল, তাঁদের প্রত্যেকেরই বাড়ির একশো জন আত্মীয় বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিল বিয়েবাড়ির ভোজ।
ছবি অকর্প্রভ ঘোষ
বিবাহ আসরে নবদম্পতিদের আশীর্বাদ করতে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সোমেন মিত্র, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। পরেশবাবুর কথায়: “১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ ভাবে অন্তত সাতশো থেকে আটশো গরিব মেয়ের বিয়ে আমরা দিয়েছি। আমি বস্তিতে বড় হয়েছি। দেখেছি গরিব মেয়েদের পণের জন্য কত অত্যাচার সহ্য করতে হয়। তাই এখানে বিয়ের আগে ছেলেদের সম্বন্ধে ভাল ভাবে খোঁজখবর নেওয়া হয়।”
আর বিয়ের পাত্ররা কী বলছেন? মধ্যমগ্রাম পুরসভার সাফাইকর্মী মাধবের কথাই ধরা যাক। গোটা ঘটনায় অভিভূত মাধব বললেন, “আমার নিজের সঙ্গতি নেই আলাদা করে অনুষ্ঠান করার। তবে আজকের দিনটা সারাজীবন মনে থাকবে।”
Previous Story

Kolkata

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.