|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা
উদাসীন প্রশাসন |
পায়ে পায়ে বিপদ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বয়স পনেরো বছর পেরিয়েছে। খুঁটি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। পাটাতনের মাঝে অনেক ফাঁক। কিন্তু এর উপর দিয়েই নিত্য দিন পার হন কয়েকশো বাসিন্দা। অভিযোগ, বার বার জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন মেরামত করেনি। রাজারহাট ব্লকের চাঁদপুর পঞ্চায়েতের উত্তর নয়াবাদের সর্দারপাড়ায় খালের উপরের সেতুটির এখন এই অবস্থা।
চাঁদপুর পঞ্চায়েতের লাউহাটি থেকে একটি খাল উত্তর নয়াবাদের মধ্য দিয়ে গিয়ে বাগজোলা খালে পড়েছে। পনেরো বছর আগে চাঁদপুর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খাল পারাপারের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন সেতুটির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। শুধু জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে। ফলে এটির এখন
চূড়ান্ত জীর্ণ দশা। |
|
প্রায় ৩৫ ফুট লম্বা আর প্রায় ৫ ফুট চওড়া ওই বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহার করেন কয়েকশো বাসিন্দা। সাঁকোর পাটাতন ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। দু’ধারে ধরার কিছু নেই। পাশাপাশি দু’জন যেতে পারেন না। বেশি লোক উঠলে নড়বড় করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাসিন্দারাই মাঝেমধ্যে জোড়াতালি দেন।
বাসিন্দা কমল মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাতে এবং বর্ষার সময় পারাপার করা খুবই বিপজ্জনক। মেরামতির জন্য পঞ্চায়েতে আবেদন করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কাঠের ব্রিজ করার কথা বলা হয়েছিল। আজও পর্যন্ত কিছুই হয়নি।”
রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের জাহানারা বিবি বলেন, “সাঁকোটির অবস্থা খুবই খারাপ। নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।”
চাঁদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের ডলি নস্কর বলেন, “ব্রিজ নির্মাণের জন্য টাকা পাওয়া গিয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব কাজ শুরু হবে।” |
ছবি: সুদীপ ঘোষ |
|
|
|
|
|