পদ্মাবতী শ্মশান |
দ্রুত চুল্লির কাজ শেষের নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
থমকে রয়েছে মেদিনীপুর শহরের পদ্মাবতী শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ। জমির অভাবে কাজ এগোচ্ছে না। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার শ্মশানে এসেছিলেন মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এমকেডিএ) চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি। সঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রামকৃষ্ণ মাইতি-সহ বিভাগীয় আধিকারিকেরা। তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, “জমি-সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে। অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।” একই মত এমকেডিএ’র এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসকের। তিনি বলেন, “আরও উদ্যোগী হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা জরুরি।”
|
|
শ্মশান পরিদর্শনে মৃগেন মাইতি। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
গত বছর শেষের দিকে পদ্মাবতী শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়। এমকেডিএ-এর অর্থ সাহায্যেই বসছে চুল্লি। প্রথমে ঠিক ছিল, শহর সংলগ্ন এলাকায় চুল্লি হবে। সেই মতো জায়গাও দেখা হয়। পরে স্থানীয়দের আপত্তিতে পদ্মাবতী শ্মশানেই চুল্লি তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিক ভাবে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। তবে খরচ আরও বাড়বে। চুল্লি সংলগ্ন এলাকায় একটি পার্ক তৈরি করা হবে। শবযাত্রীদের স্বার্থেই এই আয়োজন। প্রসঙ্গত, পাশের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর কিংবা বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার কোনও শ্মশানেই বৈদ্যুতিক চুল্লি নেই। এক সময়ে রেলশহর খড়গপুরে চুল্লি বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু খরচসাপেক্ষ দেখে সেখানকার পুর-কর্তৃপক্ষ পিছিয়ে আসেন। পদ্মাবতী শ্মশানে চুল্লি তৈরির কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে বলে অভিযোগ ছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন শ্মশান পরিদর্শন করেন মৃগেনবাবু। শ্মশানের দক্ষিণ দিকে প্রায় ১০ ডেসিমেল ফাঁকা জায়গা রয়েছে। এই জায়গাটি কেনার কথা ভাবছে এমকেডিএ। এখানেই তৈরি হবে পার্ক। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও করা হবে। আগামী সপ্তাহেই ওই জমি-মালিকের সঙ্গে এমকেডিএ কর্তৃপক্ষের আলোচনা হওয়ার কথা। শ্মশানের উত্তর দিকেও প্রায় ১৫ ডেসিমেল জায়গা রয়েছে। এখানেও সৌন্দর্যায়ন হবে। |
|