|
আপনার সাহায্যে... |
|
খেয়াল রাখবেন, দুধের দাঁত যেন সময়ে ওঠে আর পড়ে |
না হলেই দাঁতের ‘সেটিং’ নষ্ট হবে। বলছেন ডা. বিজয় বন্দ্যোপাধ্যায় |
প্র: বাচ্চার দাঁতে ব্যথা হচ্ছে। কোথায় সমস্যা ঠিক করে বলতে পারছে না। এ দিকে কিছু খেতেও চাইছে না। কী করব?
উ: নিশ্চয়ই ঠিক মতো ব্রাশ করে না।
প্র: না না, স্নানের সময় রোজই তো ব্রাশ করানো হয়।
উ: এখানেই তো ভুল করছেন। ব্রাশ করতে হবে সকাল, দুপুর ও রাতে খাওয়ার পরে। শুধু স্নানের সময় ব্রাশ করলে কী করে দাঁত ভাল থাকবে।
প্র: এক বার ব্রাশ করাতেই কালঘাম ছোটে। সেখানে দিনে তিন বার?
উ: জোর-জুলুম করবেন না। বাচ্চা বেঁকে বসবে। বরং বাবা বা মা বাচ্চার সামনে দাঁত ব্রাশ করুন। তাই দেখে সে-ও নিজে নিজে করতে চাইবে। আর এক বার দাঁত মাজার পর ফ্রেশনেসটা টের পেয়ে গেলে বাচ্চাকে ব্রাশ করানো নিয়ে ভাবতে হবে না।
প্র: স্কুলে টিফিনের পর তো ব্রাশ করতে পারবে না?
উ: বাড়ি ফিরে হাত-মুখ ধোয়ার সময় করবে।
প্র: আচ্ছা, রাতবিরেতে হঠাৎ বাচ্চার দাঁত ব্যথা হলে কী করব?
উ: তখনও ভাল করে দাঁত মাজিয়ে দেবেন। তার পর তুলোয় একটু স্যাভলন লাগিয়ে সেটি ব্যথা দাঁতে কিছু সময় লাগিয়ে রাখবেন।
প্র: তাতেই ব্যথা কমবে?
উ: নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে তো কমেই যায়।
প্র: আর যদি না কমে?
উ: একটা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাইয়ে দেবেন।
প্র: কী করলে দাঁত নিয়ে সারা জীবন কোনও সমস্যা হবে না?
উ: এই যে বললাম, ঠিক মতো দাঁত মাজতে হবে। দু’ মাস পর পর ব্রাশ বদলাতে হবে। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন দুধের দাঁত যেন সময় মতো ওঠে আর পড়ে। নইলে দাঁতের সেটিং নষ্ট হয়ে যাবে।
প্র: দুধের দাঁত তো অনেকেরই উঠতে দেরি হয়?
উ: উঠতে দেরি হলে ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজন মতো ক্যালসিয়াম সিরাপ খাওয়াতে হবে। |
|
প্র: আর যদি সময় মতো না পড়ে?
উ: তখনও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। দাঁতটা ফেলে দিতে হবে। তবে কোনও ভাবেই যেন সময়ের আগে দুধের দাঁত ফেলা না হয়।
প্র: পোকা ধরলেও ফেলব না?
উ: না। এর অনেক আধুনিক চিকিৎসা আছে। সময়ের আগে দাঁত ফেলার কথা ভুলেও ভাববেন না। বরং ছোটবেলাতেই দাঁতে ক্যাভিটি যাতে না হয় সেই চেষ্টা করুন।
প্র: ক্যাভিটি আটকাতে কী করব?
উ: লজেন্স, ক্যাডবেরির মতো চিটচিটে মিষ্টি জাতীয় কোনও জিনিস বাচ্চাকে খেতে দেবেন না।
প্র: ছোট বাচ্চা মাংস খেতে পারবে?
উ: অবশ্যই খাবে। তবে খাবারের টুকরো যেন দাঁতের গোড়ায় লেগে না থাকে। বাচ্চারা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুধের দাঁতের মাঝে মাঝে ফাঁক তৈরি হয়। সেখানে খাবারের টুকরো আটকে থাকে।
প্র: টুথ-পিক দিয়েও তো খাবারের কণা বের করা যাবে?
উ: একদম না। কাঠের টুথ-পিক ভেঙে দাঁতের গোড়ায় আটকে গিয়ে আর এক ঝামেলা তৈরি হবে।
প্র: কী করে বুঝব বাচ্চার দাঁত ভাল আছে কি না।
উ: মাঝে মাঝেই দেখতে হবে, দাঁতে কোনও কালো দাগ তৈরি হচ্ছে কি না। বছরে এক বার ডাক্তার দেখাবেন।
প্র: অনেক বাচ্চার আঙুল চোষার অভ্যেস থাকে। এতে দাঁতের ক্ষতি হবে?
উ: দাঁত উঁচু হয়ে যাবে। এ রকম অভ্যেস থাকলে দাঁতে এক রকমের প্লেট পরালে আঙুল চোষা বন্ধ হবে। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করাতে হতে পারে।
প্র: যদি দাঁত উঁচু হয়ে যায়?
উ: তা হলে পিছনের কম গুরুত্বপূর্ণ দাঁত তুলে সেট করাতে হবে। যত ছোটবেলাতে হয় ততই ভাল।
|
যোগাযোগ: ৯৮৩১৩-২৮২০৭
সাক্ষাৎকার: রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
|