|
|
|
|
জমি কেলেঙ্কারিতে প্রকাশ ঝায়ের নাম জড়িয়ে গেল বিহারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
এ বার জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গেল বলিউডের পরিচালক প্রকাশ ঝায়ের নামও। অভিযোগ, বিহারের চারটি জায়গায় মাল্টিপ্লেক্স এবং শপিং মল তৈরির জন্য ‘গঙ্গাজল’-খ্যাত পরিচালককে ‘জলের দরে’ জমি দিয়েছে বিহার শিল্প উন্নয়ন নিগম। যদিও নিগমের দাবি, সরকারি নিয়ম মেনেই ওই জমি দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী দলনেতা, আরজেডি-র আব্দুল বারি সিদ্দিকি জমি বণ্টন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, “খোদ সুপ্রিম কোর্ট টু-জি কেলেঙ্কারি নিয়ে বলেছে, টেন্ডার না ডেকে ‘প্রথমে এলে প্রথমে পাবে’ নীতির কারণেই টেলিকম মন্ত্রকে দুর্নীতির সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল। বিহার সরকার একই ভাবে জমি দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকেনি। কিন্তু কে আগে এসেছে তার কী প্রমাণ? ওই নীতির অছিলাতেই সরকার নিজেদের লোককে জমি পাইয়ে দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, প্রকাশ ঝাকে পটনার পাটলিপুত্র-সহ ঔরঙ্গাবাদ এবং মুজফ্ফরপুরেও জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে পটনা এবং মুজফ্ফরপুরে শপিং মল তৈরির জন্যই জমি পেয়েছেন প্রকাশ। বিরোধী দল আরজেডি-র পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, শপিং মল তৈরির জন্য সরকার কেন বাজার দরের থেকে প্রায় দশ ভাগ কম দামে প্রকাশ ঝাকে জমি দিল? পাটলিপুত্রে ইতিমধ্যেই প্রকাশ ঝায়ের তৈরি শপিং মল-মাল্টিপ্লেক্স চালু হয়ে গিয়েছে। ওই মাল্টিপ্লেক্সেই নীতীশ কুমার এবং অমিতাভ বচ্চনের একসঙ্গে প্রকাশ ঝায়ের ছবি ‘আরক্ষণ’-এর প্রিমিয়ার শো দেখার কথা। সিদ্দিকির অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী ওঁকে জলের দরে জমি দিয়েছেন। তার বদলে এখন ওই মাল্টিপ্লেক্সে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে এনে সিনেমা দেখাচ্ছেন প্রকাশ ঝা।” প্রকাশ এর প্রতিবাদ করেছেন, “আমাদের শপিং মল চালু হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলিরও কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রকল্পগুলি নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না।”
শুধু প্রকাশ ঝা-ই নয়, জেডিইউ সভাপতি শরদ যাদবের ঘনিষ্ঠ আব্দুল সাত্তারকেও মাধেপুরায় একটি ঠান্ডাঘর তৈরির জন্য নিয়ম ভেঙে জমি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিগমের বিরুদ্ধে। নিগমের এমডি অনসুলি আর্যের দাবি, জমিগুলি নেওয়ার জন্য কোনও দাবিজার ছিল না। তাই যাঁরা চেয়েছেন, জমি পেয়েছেন। |
|
|
|
|
|