|
|
|
|
এটিএস বৈঠক |
উড়ান প্রচুর, সামাল দিতে কলকাতা ও ঢাকা সমন্বয়ে জোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং উত্তরবঙ্গে উড়ান সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। কারণ, কলকাতা বা দিল্লি থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং উত্তরবঙ্গের উড়ানগুলি বাংলাদেশের আকাশসীমা দিয়ে যাতায়াত করে। বছর পাঁচেক আগেও কলকাতা থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার উড়ান ছিল দিনে বড়জোর তিন-চারটি। এখন কলকাতা থেকে প্রতিদিন ১৪টি উড়ান যায় গুয়াহাটিতে। শুধু গুয়াহাটি নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উত্তর-পূর্বের অন্যান্য শহরের উড়ানের সংখ্যাও। এই অবস্থায় বাড়তি উড়ানের চাপ সামলাতে কলকাতা-ঢাকা সমন্বয়ের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতা থেকে উড়েই মাত্র মিনিট চারেকের মধ্যে বিমান ঢুকে যায় বাংলাদেশের আকাশে। ঢাকা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসি-র অফিসারদের নজরদারি চালাতে হয় সেই সব বিমানের উপরে। ফলে নিয়মিত চাপ বেড়েই চলেছে তাঁদের উপরে। সেই চাপ কমাতে অবিলম্বে এটিসি অফিসারের সংখ্যা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এমনকী এ বার নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য সেই অফিসারদের ভারতেও পাঠাতে চায় ঢাকা। শুক্রবার কলকাতায় এ কথা জানান বাংলাদেশের এয়ার ট্রাফিক পরিষেবার ডিরেক্টর আজাদ জাহিরুল ইসলাম।
এটিসি অফিসারেরাই বিমানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রতি মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এবং উল্টো পথে বিমান যাতায়াত করে। তাই সব সময়ে দু’দেশের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট চুক্তি নেই বলে জরুরি অবস্থা ছাড়া কলকাতা ও ঢাকার এটিসি অফিসারেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন না। এক সময় সেই সমন্বয়ের জন্য নিয়মিত বৈঠক হত দু’দেশের মধ্যে। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার চন্দন সেন জানান, ২০০৩ সালে ঢাকায় শেষ বার সমন্বয়-বৈঠক হয়েছিল। তাঁর কথায়, “এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্যই এই বৈঠকের বিশেষ প্রয়োজন ছিল।”
যে-পথে বিমান কলকাতা থেকে আগরতলা যায়, সেই পথেই ফিরে আসে। গুয়াহাটির ক্ষেত্রেও তা-ই। উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যের বিমানও বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাওয়া ওই দু’টি রুট ব্যবহার করে। কখনও কখনও একই রুটে মুখোমুখি চলে আসে বিমান। যাওয়া এবং আসার জন্য দু’টি ভিন্ন রুট ব্যবহার করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে এ দিন এটিসি অফিসার সংগঠনের আঞ্চলিক সম্পাদক বিনীত টোপো জানান। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জানান, আলাদা রুট ব্যবহার করা যাবে কি না, সেটা সেনা ঠিক করবে।” এ ছাড়াও এ বার থেকে কোনও বিমান হারিয়ে গেলে বা দুর্ঘটনার মুখে পড়লে যাতে দু’দেশের এটিসি একসঙ্গে খোঁজাখুঁজি করতে পারে, সেই জন্য একটি চুক্তিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এ দিন। বানানো হয়েছে চুক্তির খসড়াও। সেই খসড়া দিল্লি ও ঢাকায় পাঠানো হবে। দুই শহরের এটিসি যাতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারে, সেই জন্যও চুক্তি করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে এ দিন। |
|
|
|
|
|