বাঙালি আমলা ফিরলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে
প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ফিরে এলেন পুলক চট্টোপাধ্যায়। এ বার সচিব হিসেবে। প্রথম দফার ইউপিএ সরকারে এই দফতরে যুগ্ম-সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদে বাঙালি বলতে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের জহর সরকার ছিলেন ‘একা কুম্ভ’। উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের হলেও পুলকবাবু প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিব হিসেবে যোগ দেওয়ায় সেই অভাব কিছুটা ঘুচল।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিব পদে এম এন প্রসাদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেই পদে যোগ দিচ্ছেন পুলকবাবু।
মনমোহন সিংহের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে পুলকবাবুর। আবার তিনি সনিয়া গাঁধীরও ঘনিষ্ঠ। প্রয়াত রাজীব গাঁধীর আমলে রায়বরেলীর মতো গাঁধী-পরিবারের দুর্গে জেলাশাসক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তখন থেকেই গাঁধী-পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূচনা। সেই সূত্র ধরেই এনডিএ-জমানায় সনিয়া যখন বিরোধী দলনেত্রী, তখন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। পুলকবাবু কাজ করেছেন রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনেও। তাই সরকারি সূত্রেরও বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিব হিসেবে তিনি মনমোহন ও দশ
পুলক চট্টোপাধ্যায়
জনপথের মধ্যে সেতুবন্ধনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন। স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি থেকে কালো টাকার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গেই বারবার কংগ্রেস ও সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে সম্প্রতি। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম বলে পরিচিত পুলকবাবু এই সমন্বয়ের ফাঁকটুকু পূরণের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রথম ইউপিএ-সরকারের শেষ দিকে বিশ্বব্যাঙ্কের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হয়ে ওয়াশিংটনে যান পুলকবাবু। ওই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তার আগেই ফিরিয়ে আনা হল তাঁকে। এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছিল অনেক দিন ধরেই। কিছু দিন আগে ক্যাবিনেট সচিব পদে কে এম চন্দ্রশেখর অবসর নেওয়ার পরে ওই পদেই পুলকবাবু যোগ দেবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সনিয়া গাঁধীর মধ্যে কথাও হয়েছিল। কিন্তু শেষে ক্যাবিনেট সচিব পদে অজিতকুমার শেঠকেই বেছে নেওয়া হয়। অজিতকুমার ও পুলকবাবু একই ব্যাচের (১৯৭৪ সাল) আইএএস অফিসার হলেও, প্রথম জনই আমলাদের তালিকায় পুলকবাবুর থেকে উপরে ছিলেন। সব সময়ই যে সেই তালিকার ক্রমানুসারে এগোনো হয়, তা-ও নয়। যেমন শিবশঙ্কর মেনন বিদেশ মন্ত্রকের একাধিক আমলাকে টপকে বিদেশসচিব হয়েছিলেন। সে সময় মাপকাঠি করা হয়েছিল যোগ্যতাকে। কিন্তু সম্প্রতি অর্থসচিব পদে নিয়োগের সময় আবার আইএসএস-তালিকার ক্রমানুসারেই আর এস গুজরালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব পদেও তার অন্যথা করা হয়নি।
পুলকবাবুর প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের দফতর ঢেলে সাজানোর সুযোগ পাচ্ছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যুগ্মসচিব ভিনি মহাজন ও সঞ্জয় মিত্র বেরিয়ে গিয়েছেন। সঞ্জয়বাবু পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব হিসেবে যোগ দিয়েছেন। ভিনির বদলে যোগ দিচ্ছেন ছত্তীসগঢ় ক্যাডারের অফিসার বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম। প্রথম ইউপিএ-জমানায় তিনি মনমোহনের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। ডিরেক্টর পদে কর্মরত ডি পি এস সাঁধু, আশিষ গুপ্ত, পঙ্কজ শরণ, সুধাকর ডালেলারাও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে অন্যত্র বদলি হচ্ছেন। তাঁদের জায়গায় নতুন মুখ হিসেবে আসছেন অসম ক্যাডারের সঞ্জয় লোহিয়া ও পঞ্জাবের কিষেণ কুমার। কংগ্রেসের একাংশ আবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদ থেকে টি কে এ নায়ারকে সরাতে চাইছে। তাঁকে রাজ্যপাল করার প্রস্তাবও এসেছিল কংগ্রেসের তরফ থেকে। নায়ারকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট জেনারেল করার প্রস্তাব এখনও ঝুলে রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখনই তাঁকে সরাতে রাজি নন।
Previous Story Desh Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.